জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর শর্ত থেকে সরে আসছে সরকার
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১০-১০-২০২৩ ১০:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-১০-২০২৩ ১০:৪৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি :
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগের কাছে জ্বালানি ও সারের ভর্তুকি কমানোর কৌশল কী হতে পারে, তা জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধি দল। রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কৌশল তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে ঠিক কবে থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের করা হবে তাও জানতে চেয়েছে তারা।
গত সেপ্টেম্বরে আইএমএফের বর্ধিত ঋণ সহায়তার (ইসিএফ) শর্তে জ্বালানি তেলের প্রাইসিং ফর্মুলা করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ডিজেলের দাম সমন্বয় করার কথা ছিল। কিন্তু আগামী নির্বাচনের দোহাই দিয়ে সেই শর্ত বাস্তবায়ন থেকে সরে এসেছে সরকার। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ ও ভর্তুকিতে বিশাল বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।
আইএমএফ সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানা গেছে। দ্বিতীয় ঋণের কিস্তি দেয়ার জন্য সরকারের চলমান আর্থিক খাতের সংস্কার কর্মসূচি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল এখন ঢাকায়। বৈশ্বিক ঋণদাতা গোষ্ঠীটির স্টাফ মিশন সদস্যের এই দল এসেছে গত বুধবার। সফরকালে সোমবার (৯ অক্টোবর) অর্থ বিভাগ বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছে।
বাংলাদেশে আইএমএফের প্রথম কিস্তির শর্ত বাস্তবায়ন দেখার জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর পর্ষন্ত ঢাকায় অবস্থান করবে প্রতিনিধি দলটি। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফ টিমটি ভর্তুকি ও সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ বিগত ২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছর পর্যন্ত কত হতে পারে তা জানতে চেয়েছে । জ্বালানি তেল ও সারের দাম বাড়িয়ে কিভাবে বাজেটের ঘাটতি অবস্থার কমিয়ে ফেলা যায়, সেই কৌশল নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় প্রকৃতপক্ষে গরিব মানুষকে কিভাবে অর্থ সহায়তা প্রদান করা যায় তা নির্ধারণ করতে হবে।
বাজেট অনুবিভাগের দ্বিতীয় বৈঠকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সামাজিক ব্যয় ধারাবাহিক অবস্থাটি জানতে চেয়েছে আইএমএফ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকির পরিমাণ হচ্ছে ১ লাখ ০৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে সংশোধনের পর যার পরিমাণ ছিল ৭৪ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ এর আগে আইএমএফ থেকে ৪বার ঋণ নেয়।
প্রথমবার নেয়া হয় ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে। এরপর ২০০৩-২০০৪, ২০১১-১২ এবং সর্বশেষ ২০২০-২১ সালে সংস্থাটি থেকে অর্থ সহায়তা নেয়া হয়। তবে কোনোবারই ঋণের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়ায়নি।c/24
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স