মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তুরাগথানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১৯-০৯-২০২৩ ০৫:০৫:১২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৯-০৯-২০২৩ ০৫:০৫:১২ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি :
রংপুরের গঙ্গাচড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক আজাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শফিকুল ইসলামকে (৩৫) রাজধানীর তুরাগথানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি জানান। গ্রেফতার শফিকুল রংপুরের কোতয়ালী থানাধীন গোকুলপুর এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে।
তিনি জানান, শনিবার বিকেলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর তুরাগ থানাধীন এলাকা থেকে শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানার একটি হত্যা মামলার আসামি তিনি। তিনি ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।
ইজিবাইক চালক আবুল কালাম আজাদকে ধারালো ছোরা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন।এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
র্যাব সিও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল এই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছেন।তিনি ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। ২০১৮ সালের ২৪ আগস্ট শফিকুল ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার খলেয়া নামের এলাকায় যাওয়ার কথা বলে আজাদের ইজিবাইক ভাড়া নেন।
এরপর ওই এলাকায় তাদের পূর্বপরিকল্পিত সুবিধাজনক স্থান একটি ধানক্ষেতের কাছে পৌঁছালে তারা আজাদকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে ধান ক্ষেতে নিয়ে যান। এরপর সেখানে নিয়ে গিয়ে ছোরা দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে নৃশংসভাবে আজাদকে হত্যা করেন। ঘটনাস্থলে মরদেহ ফেলে রেখে ইজিবাইকটি নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান তারা। এই ঘটনায় পর মৃত আজাদের মা বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ আসামি শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার এবং ইজিবাইক ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।
পরে শফিকুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত শফিকুলকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। শফিকুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।daka /protidin
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স