ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আমাদের ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না, তখন ইন্টারফেয়ার করতে পারব।

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ১৮-০৯-২০২৩ ০৪:৪৩:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৮-০৯-২০২৩ ০৪:৪৩:৩২ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আমাদের ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না, তখন ইন্টারফেয়ার করতে পারব। ফাইল ছবি :
জেলা প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তাদের ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আমাদের ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না, তখন ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী তার সফরে বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে কোথাও যাচ্ছেন, সরকারি কাজে যাওয়ার পরেও যখন ভোট চাইছেন, সেখানে নির্বাচন কমিশনের কথা বলার কোনো এখতিয়ার আছে কিনা—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, 'এই প্রশ্নের উত্তর আমি চট করে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। বিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে, সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে; প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাদের ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না, তাহলে তখন নিশ্চয়ই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারব। উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে কিন্তু এ বিষয়টা আমরা ওইভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখিনি।'

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ভোটের পরিবেশ নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলেও জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে কি আপনাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে—বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগগুলো করছে; ভোটের পরিবেশ এখন নেই, গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'খুব জটিল প্রশ্ন, আমি উত্তর দিতে পারব না এই মুহূর্তে। ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ; নির্বাচন তিন মাস পরে হবে, ছয় মাস পরে হবে কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ বা প্রক্ষেপণ অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে।'

পক্ষেপণের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, মনে করেন, আপনারা বলছেন, আমরা পারি না। কালকে জেলা প্রশাসকরা একটা অ্যাসোসিয়েশন করলেন। ওরা সবাই ঢাকায় এসে বললেন এবার আমরা একটা বিশেষ দলকে অবশ্যই অবশ্যই ক্ষমতায় নিয়ে আসব। নির্বাচন আরও ছয় মাস পরে। আমরা কি নিশ্চুপ বসে থাকব? এখানে তাদেরকে তো একটা নির্দেশনা দিতে হবে, না, এভাবে আপনারা আচরণ করতে পারেন না।

'কারণ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ, অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইন-শৃঙ্খলনার বিষয়টি তাকেই দেখতে হয়। কাজেই কোনোভাবেই আমরা চাইব না যে, কোনো জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক,' বলেন তিনি।

ভোট চাওয়ায় ডিসিকে প্রত্যাহারকে আইওয়াশ বলছে বিরোধী পক্ষ—গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'এটার প্রশ্ন (জবাব) আমি দেব না।'

জামালপুরের জেলা প্রশাসকের ক্ষেত্রে যেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে রকম আরও উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয় আমরা তখন নিশ্চয়ই এ ধরনের উদ্যোগ নেব।'jugan/or
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ