ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেট ইস্যুতে সুর পাল্টালেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ৩০-০৮-২০২৩ ০৬:৪১:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩০-০৮-২০২৩ ০৬:৪১:০৭ অপরাহ্ন
সিন্ডিকেট ইস্যুতে সুর পাল্টালেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফাইল ছবি :
বাজারে সিন্ডিকেট আছে এমন কথা কখনো বলেননি বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, আমি বলেছি, মাঝেমধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? ভোক্তা অধিকারসহ নানা‌ সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু জনবল কম। এটা নিয়ে নানা সময়ে কথা বলেছি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস-বাংলা বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষ সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানোর পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।

এই পর্বে এক সিনিয়র সাংবাদিক সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করে বলেন, অনেক পণ্যের ব্যাপারে সিন্ডিকেট করে বাংলাদেশে ব্যবসা করে মানুষের পকেট থেকে অনেক টাকা নেওয়া হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কথা দায়িত্বশীল মন্ত্রীরাও বলেন। প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেটে হাত দেয়া যাবে না বলে বাণিজ্যমন্ত্রীও বলেছেন।

তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সিন্ডিকেটে হাত দেয়া যাবে না, বাণিজ্যমন্ত্রী এমনটি বলে থাকলে তাকে তিনি ধরবেন। সরকারপ্রধান বলেন, সিন্ডিকেট থাকলে তা ভাঙা যাবে না, এটা কোনো কথা না। যখনই পণ্যের দাম বাড়ায়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেটাতো প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমিতো কিছু বলিনি। এ ব্যাপারে আমি কী বলব, উনি কী মিন করে বলেছেন সেটা আমি কী করে বলব। সেসময় কী সিচুয়েশনে বলেছেন।


টিপু মুনশি বলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা ছিলাম। আমেরিকান চেম্বার্সের প্রতিনিধিরাও‌ ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি, উনিও জিজ্ঞেস করেননি।

বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাম থেকে শুরু করে লাখ লাখ মানুষ ডিম উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এটাকে সিন্ডিকেট বলব কীভাবে? এই যে বিশাল জায়গা থেকে দাম বাড়াচ্ছে তারা।

টিপু মুনশি বলেন, ইংল্যান্ডে তিনটার বেশি টমেটো কেনা যায় না। দোকানগুলোতে তেলের যে অবস্থা এটা গ্লোবাল ক্রাইসিস। যার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এই মুহুর্তে দেখেন পেঁয়াজের ওপর ভারত ট্যাক্স দিয়ে দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গ্লোবাল এই সিচুয়েশনের মধ্যে কীভাবে এই ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায়।

c24

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ