ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরের প্রায় ৫শতাধিক পরিবারের

বেঁচে থাকার জন্য ছাড়তে হচ্ছে বাপ-দাদার ভিটে

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ২৪-০৮-২০২৩ ১২:৩৪:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৪-০৮-২০২৩ ১২:৩৪:৪১ অপরাহ্ন
বেঁচে থাকার জন্য ছাড়তে হচ্ছে বাপ-দাদার ভিটে ফাইল ছবি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চোখের পলকেই মধুমতি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে মাথাগোঁজার একমাত্র ঠিকানা। বেঁচে থাকার জন্য ছাড়তে হচ্ছে বাপ-দাদার ভিটে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরের প্রায় ৫শতাধিক পরিবারের। এছাড়াও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল, বাজার, পাকা সড়ক, মসজিদ, মাদরাসাসহ ফসলি-জমি ও বসতবাড়ি। শুধু মধুমতি নয় এমন চিত্র পদ্মা ও আড়িয়াল খায়।

বর্ষা মৌসুম শুরু থেকে ভাঙনে দিশে হারা ফরিদপুরের পদ্মা-মধুমতি ও আড়িয়াল খার পড়ে বসবাসরত বাসিন্দারা। প্রতিদিনই নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষের সম্পদ। ভাঙন রোধে সাময়িকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে নদীতে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য ।

সরেজমিনে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পাঁচুরিয়া, বানা ও গোপালপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মধুমতির নদীতে দেড় কিলোমিটার অংশ জুড়ে নদী তীরবর্তী তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে পানি বাড়ার সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে ভাঙন। কয়েক বছরে বিলীন হয়ে গেছে দুই কিলোমিটার জায়গা। বিলীন হয়েছে দুই শতাধিক বসতভিটা ও কয়েক শত একর ফসলী জমি। এমন চিত্র ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীর পাড়।

অনেকেই সব হারিয়ে দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে। অনেকে শেষ সম্বল ঘরবাড়ি, গাছপালা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ৫শতাধিক পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তারা। এছাড়াও সরকারি স্কুল, পাকা সড়ক, মসজিদ, মাদরাসাসহ ফসলি-জমি ও বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

নদী পাড়ে বাসিন্দারা জানালেন তাদের ভোগান্তির গল্প। সেখানে গিয়ে কথা হয় হাবিব মাতুব্বর, করিম শেখ, স্কুল শিক্ষক ইউসুফ হোসেনসহ বেশ কয়েক জনের সঙ্গে। তারা জানালেন, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভাঙন। নদী পারের অভাবী মানুষ গুলো সম্পদ হারিয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছে।

এদিকে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় কম। স্থানীয়দের দাবি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।


তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানালেন, ভাঙন এলাকায় বরাদ্দ অনুযায়ী আপদকালীন জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নদী ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী শুকনো মৌসুমে স্থায়ী বাঁধের কাজ করতে পারবো।
 
আলফাডাঙ্গা পৌরসভা মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, প্রতিবছরই মধুমতির ভাঙনে কয়েকশ পরিবার বসতবাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। এই সময়ে যে ভাঙন হচ্ছে তার রোধে আরও বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলতে হবে।

 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ