কৃষকরা আতঙ্কে
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
২০-০৪-২০২৫ ০৫:২৩:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-০৪-২০২৫ ০৫:২৩:০৭ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
সুনামগঞ্জে কৃষকের কষ্টে ফলানো সোনালি ধানের শিষ দোল খাচ্ছে হাওরের বুকজুড়ে। সেই ধান গোলায় তুলতে পারলেই মনের শান্তি এবং চাঙা হাওরাঞ্চল ও দেশের অর্থনীতি। সেই ধান কেটে আনতে সড়ক (জাঙ্গাল) না থাকা, শ্রমিক সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, আগাম বন্যার আশঙ্কায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা ছিল হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে।
তবে বৃষ্টি না হওয়া আর ধান কাটার পরিবেশ ভালো এবং রৌদ থাকায় আতঙ্ক কাটিয়ে খুশি মনে ধান কেটে মাড়াই, শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও তার পরিবারের সদস্যরা। তবে রৌদ্রময় আকাশ একটু অন্ধকার হলেই কৃষকের বুক কেঁপে ওঠে।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৫-২১ এপ্রিল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি এবং আগাম বন্যার আশঙ্কার তথ্য জানিয়ে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার নির্দেশ দেয়। সেই ঘোষণার পর হাওরের অনেক কৃষকরা আতঙ্কে আধা পাকা ধানও কেটে ফেলেন।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের অর্থনৈতিক মূল ভিত্তি এক ফসলি বোরো ধান। লোক মুখে প্রচার আছে, সুনামগঞ্জের উৎপাদিত ধান সারা বাংলাদেশের ১৬-১৭ দিনের খাবার জোগান দেয়। এই ধান শুধু খাদ্য নয়, কৃষকের ভবিষ্যতে শক্তি সাহস, ঘরে ঘরে হাসি, সন্তানদের স্কুল, ছেলে-মেয়ের বিয়েশাদি করানো আর সংসারের স্বস্তি। সেই ধান গোলায় তোলা নিয়ে ভয়ে আছে হাওরের হাজার হাজার কৃষক।
হাওর পাড়ের সচেতন মহল বলেন, পাউবো বৃষ্টির তথ্য দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বৃষ্টি হলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আর জমিতে পানি জমে এতে হারভেস্টর চালাতে সমস্যা হয়। তাই জমি শুকনো থাকতেই ধান কাটানোর ফন্দি। যত দ্রুত সম্ভব পাকা, আধা পাকা ধান কাটানোর চেষ্টা মেশিনের ব্যবসা সফল আর বন্যা এলেও কোনো সমস্যা নেই, ধান কাটা হয়ে গেল পাউবোও বেঁচে গেল।
হাওরপাড়ের কৃষকরা বলেন, ‘ধান পাকতে আরো এক সপ্তাহ লাগবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স