ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ , ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিনয় ছেড়ে দেয়ার ইঙ্গিত

বিনোদন ডেক্স
আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৪ ০৪:৩৪:০১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৪ ০৪:৩৪:০১ অপরাহ্ন
অভিনয় ছেড়ে দেয়ার ইঙ্গিত ফাইল ছবি
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান। মডেলিং দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে বিভিন্ন টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ছোট পর্দার পাশাপাশি ওটিটি ও বড় পর্দাতেও কাজ করেছেন তিনি। এবার এই অভিনেত্রী অভিনয় ছেড়ে দেয়ার ইঙ্গিত দিলেন।


সম্প্রতি তার অভিনীত 'প্রবাসের স্ত্রী' নামের একটি নাটক কয়েক মিলিয়ন ভিউ হওয়ায় নাটকটি নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেখানেই নাটক নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করার সময় জানান যে তিনি আর অভিনয় করতে চান না। অন্যদিকে মনোযোগ দিবেন।

অহনা বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে আর অহনা রহমান হতে চাইবো না। অনেকদিন কাজ করেছি এবার আসলে অন্যদিকে মনোযোগ দিতে চাই। আমাকে অনেক বছর দেখলেন আর কত, অনেক ভালো অভিনেত্রী-অভিনেতারা আসছে তাদেরও দেখা উচিত।

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, সব সময় দেখানো হয় যে কেউ বিদেশে থাকে তার মানে তার খারাপ পরকীয়া করে। বউরা ভালো হওয়া স্বত্বের এসব কথা শুনতে হয়। তিনি যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা দিয়ে সমাজের এসব বিষয় তুলে ধরেছেন।

মোশারফ করিমকে তার শিক্ষক উল্লেখ করে অহনা বলেন, মোশারফ করিম পুরো বাংলাদেশের সম্পদ এবং আমি ভবিষ্যতে বলতে পারবো যে আমি বাংলাদেশের এমন একটা মানুষের সাথে কখনও কাজ করেছি যে এ মানুষটা বাংলাদেশে সম্পদ। সে আমার শিক্ষক বড় ভাই, কলিগ। সে আমাকে হাতে ধরে অনেক অভিনয় শিখিয়েছে। আমার ক্যারিয়ার লাইফে তার কৃতিত্ব অনেক।

বর্তমান সময়ে নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে অহনা বলেন, আসলে বিষয়টি সবাই জানে। কিন্তু দর্শক জানেনা। আমি আসলে ঘরের কথা পরের কাছে বলতে চাই না। তবে আমার সঙ্গে এমন কিছু হয়নি। প্রেমের কারণে শুধু আমার সঙ্গেই থাকতে হবে এমন কিছুই আমার সঙ্গে হয়নি এতো বছরে। এর সামনেও এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সবশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেলো বছর দুয়েক ধরে ডলার সঙ্কট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো। আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে। তবে, গেলো দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার আশা গভর্নরের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেওয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেওয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনবো। তখন বাজারে লিকুইডিটি আরও বাড়বে।

গভর্নর বলেন, এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২ থেকে ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন পাই। তাহলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও কিছুটা গতিশীল পাবে।
ইত্তেফাক

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ