তিন ঘণ্টায় তাপমাত্রা বাড়লো ৩.৩
আপলোড সময় :
২৭-০৪-২০২৪ ০৫:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৪-২০২৪ ০৫:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
চুয়াডাঙ্গায় টানা ২৭ দিন ধরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অতিষ্ট জনজীবন। সেই সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জেলার প্রাণীকূলের। প্রকৃতির যখন এমন অবস্থা, তখন প্রতিদিনই বাড়ছে জেলার তাপমাত্রা।
শনিবার বেলা তিনটায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলিসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৪৮ শতাংশ। ধারনা করা যাচ্ছে, আজ তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়াবো। এর আগে একই দিন দুপুর ১২টায় ৩৯ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের রকিবুল হাসান জানান, এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
চলতি বছরে দীর্ঘসময় ধরে চলা অতি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড এটি।
আগে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২০১৪ সালের ২১ মে। সে সময় পারদ উঠেছিলো ৪৩ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল তাপমাত্রা উঠেছিলো ৪২ দশমিক আট ডিগ্রিতে।
চুয়াডাঙ্গায় এতো বেশি গরম পড়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর কিছু প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে। সে অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে তাপপ্রবাহ বেশি হয়।
কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা নির্ভর করে ওই এলাকার ভূ-প্রকৃতি, সমুদ্র থেকে দূরত্ব, স্থলভাগ ও জলভাগের অবস্থান, বনভূমির অবস্থান ইত্যাদি নানা বিষয়ের ওপরে। চুয়াডাঙ্গার আশেপাশে বড় কোনো জলাভূমি বা বনভূমি না থাকা এ অঞ্চলে তীব্র গরমের অন্যতম কারণ।
গত বছর আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে এপ্রিল হচ্ছে সর্বোচ্চ গরম মাস। এই সময়ে পৃথিবী সূর্য থেকে রশ্মি বা কিরণ পায় সেটি লম্বালম্বিভাবে পায়।
সূর্যকে কেন্দ্র করে যে কক্ষপথ ধরে পৃথিবী ঘুরছে সেখানে পৃথিবীর অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে কাছ থেকে সূর্যরশ্মি গ্রহণ করছে।
অন্যভাবে বলতে গেলে, এপ্রিল মাসে সূর্য থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অন্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। যার কারণে সূর্যের তাপ বেশিই পরে এই অঞ্চলে।
যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, খুলনা এই অঞ্চলে বিস্তৃত সমভূমি রয়েছে। এছাড়া এই অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ। সেখানেও বিশাল এলাকা জুড়ে সমভূমি।
ফলে তাপমাত্রা প্রবাহের যে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে- পরিবহন, পরিচলন এবং বিকিরণ- এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে সমভূমি হওয়ার কারণে এই অঞ্চল দিয়ে পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ প্রবাহিত হয়। ফলে সরাসরি তাপ লাগার কারণে পুরো অঞ্চলের তাপমাত্রা বেশি থাকে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স