চিলের পিছে না ছুটে কান আছে কিনা দেখতে হবে: অর্থমন্ত্রী
                                
                                
                                
                                    
                                        
                                            
                                                  বাংলার জমিন ডেস্ক :  
                                                
                                                     আপলোড সময় : 
                                                      
                                                                                                              ০৯-১২-২০২৩ ০৫:৩০:৪৯ অপরাহ্ন
                                                        
                                                
  
                                                
                                                     আপডেট সময় : 
                                                                                                            ০৯-১২-২০২৩ ০৫:৩০:৪৯ অপরাহ্ন
                                                       
                                                
 
                                             
                                         
                                        
                                        
                                     
                                 
                             
                            
                                
                                 ফাইল ছবি 
                             
                            
                            
                            
                                কোন দেশ কী নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে সেদিকে না তাকিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক ও বিজয়ী জাতি হিসেবে দেশ গঠনে সবার এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
আর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো চাপ অনুভব করছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে একাত্তরকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নির্বাচনের পরে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে কিনা, নিজের আসনে জাতীয় পার্টির অবস্থান, নারীদের রাজনীতিতে আসা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
এবারের ভোটেও সিলেট-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল মোমেন। এই আসনকে ভিআইপি আসন বলা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে, সে দলই সরকার গঠন করেছে।
বিখ্যাত সুফি দরবেশ ও ধর্ম প্রচারক হযরত শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার এলাকা গঠিত এ আসনে দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক স্পিকার ও দুই দুই অর্থমন্ত্রী। এরা হলেন সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সাইফুর রহমান।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের পর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সিলেট-১ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন একে আবুল মোমেন। এরপর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসছেন।
৭৭ বছর বয়সী একে আব্দুল মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ এবং উন্নয়ন অর্থনীতিতে এমএ করেছেন। এরপর হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে করেছেন এমবিএ। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রিও রয়েছে তার।
একে আব্দুল মোমেনের রয়েছে বর্ণময় কর্মজীবন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দুই মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। এরপর চলে যান শিক্ষকতায়।
মেরিম্যাক কলেজ, সালেম স্টেট কলেজ, নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট এ অর্থনীতি ও ব্যবসায় প্রশাসন পড়িয়েছেন।
২০০৯ সালের আগস্ট মাসে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি নিযুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে শিক্ষকতা করেছেন।
একাত্তর: নির্বাচনের পরে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে কিনা?
একে আব্দুল মোমেন: ভিসা নীতির বিষয়ে আমি জানি না। আমেরিকা চাইলে তাদের ভিসা না দিতেই পারে। আমেরিকার ভিসাতো সহজে দেয়ও না। অনেক টাকা খরচ করে কয়েক হাজার আবেদন করে, সবাইতো পায় না। ছাত্রছাত্রীরা কিছুটা পায়। আমার যারা নেতাকর্মী, মাঠে ঘাটে কাজ করে, তারাতো ভিসার আবেদনও করে না।
সুতরাং এটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ নিয়ে আমরা কোনো দিন কোনো চাপও অনুভব করিনি। তবে হ্যাঁ, আমাদের দেশের অনেক লোক আছেন; সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, এনজিও কর্মী, সুশীল সমাজের নেতাসহ অনেকে, তাদের ছেলে-মেয়েরা অনেকে বিদেশে পড়াশোনা করে, তারা কেউ কেউ সেখানে বাড়িঘরও করেছেন। তাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল যে, তাদের সে বাড়িঘর রক্ষা করতে পারবো কিনা।
স্যাংশন হলে বাড়িঘর ও অ্যাকাউন্ট নিয়ে সমস্যা হবে কিনা! তাদের মধ্যে ভয়। তবে আমাদের মধ্যে কোনো ভয় নেই। আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এটার কোনো প্রভাব নেই।
একাত্তর: স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এরকম হস্তক্ষেপ কেনো?
একে আব্দুল মোমেন: কোনো কোনো দেশ শক্তিশালী, পরাশক্তি। তাদের সব... এটা তো আমরা বলতে পারি না। আমাদের মতো দরিদ্র দেশ, আমাদের এতো শক্তি নাই, এতো ক্ষমতা নাই। আমরা চাই, বিশ্বে শান্তি থাকুক, সব লোক নিজের মতো সুখে শান্তিতে থাকুক। আমরা বিশ্ব শান্তি চাই। অন্যের উপকার হচ্ছে, এটা আটকাতে হবে, আমাদের এই মানসিকতা নেই।
অনেক লোক আছে, আপনি ভালো করতেছেন, একটা না একটা অজুহাত তুলে আপনাকে ঠেকাবে। কতগুলো রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে গেছে, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে। ইরাক, লিবিয়া ও আফগানিস্তানসহ অনেক দেশের ওপর নানা অভিযোগ দিয়েছে, পরে আর কিছুই পায়নি। এমন অনেক ভাঁওতাবাজি আমরা অনেক শুনেছি, জেনেছি।
মূল বিষয় হলো- জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। এখন আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমরা বিজয়ী জাতি। আমাদের কান চিলে নিয়ে গেছে, এটা শোনার পর হাত দিয়ে দেখা উচিত- আসলে কান আছে কিনা। তারপরও এই সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়া উচিত। আমরা কোনো ধরনের চাপ অনুভব করি না। যা হবে, ওপরওয়ালা আছেন, দেশের জনগণ আছে, আর শেখ হাসিনা আছে।
নতুন মার্কিন স্যাংশন, তালিকায় নেই বাংলাদেশনতুন মার্কিন স্যাংশন, তালিকায় নেই বাংলাদেশ,71/tv
 
                            
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
                                
                
 
 কমেন্ট বক্স