নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না,প্রধানমন্ত্রী।
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
২৩-১১-২০২৩ ০৪:০৯:২১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৩-১১-২০২৩ ০৪:০৯:২১ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে ভোটে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে জনগণ কাদের চায় তা যাচাই হয়ে যাবে।
আর ভোটে না এসে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তার পরিণতি ভালো হবে না বলে সাবধান করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বলবো, ঠিক আছে, আর কিছু না হোক, দল যখন আছে, নমিনেশন বিক্রি করা, এটাও তো একটা ব্যবসা তাদের। এর আগে সেই ব্যবসাই তারা করেছে। হয়তো সেই ব্যবসা করতে পারে। সেজন্য নির্বাচনে আসুক, আমি সেই আহ্বান জানাই।
'নির্বাচনে আসা, কার কত দৌড় আমরা সেটা দেখি। জনগণ কাকে চাই, সেটা আমরা যাচাই করে দেখি,' বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
তবে ভোটের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে হরতাল, অবরোধে সহিংস কর্মসূচিতে রয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নির্বাচন ঠেকানোরও ঘোষণা দিয়েছে দলটির নেতারা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না, বিএনপি কি বাংলাদেশে একটা নেতা পেলো না! যাকে তাদের দলের চেয়ারম্যান করতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় কানাডার পুলিশ এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে।
'তো যারা এরকম দুর্নীতিবাজ, একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা ঘটাতে পারে, তাদের নেতৃত্বে যে দল কোন বিশ্বাসে তারা নির্বাচনে আসবে!'
'তারপরও' বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ প্রধান। তবে নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা কেউ করবেন না। করলে তার পরিণতি ভালো হবে না। এটাও বাস্তবতা।'
PM 4রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি-জামায়াত বাদে দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও জোট নির্বাচনমুখী হয়েছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ভোটে অংশ নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল নিয়ে আরও কিছু জোট ভোটে লড়ার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'ইতোমধ্যে সে সমস্ত দল নির্বাচনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদেরকে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানাই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। জনগণ চাইলে তাদেরকে ভোট দেবেন। তারা পার্লামেন্টে যাবেন, আমরা সেটাই চাই। সেভাবেই আমাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'
'আর এখনও যারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তাদের বলবো, আপনারা আসেন নির্বাচনে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।'
ভোটের পথে বাড়ছে দলের সংখ্যা, চাপে বিএনপিভোটের পথে বাড়ছে দলের সংখ্যা, চাপে বিএনপি
সরকারপ্রধান বলেন, 'এটুকু বলতে পারি, আওয়ামী লীগের আমলে প্রত্যেকটা নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। এবার আমি বারবার নির্দেশও দিয়েছি যে, জনগণের ভোটের অধিকার..আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। জনগণের সেই অধিকার নিশ্চিত করেই আমরা নির্বাচন করবো।
'এখানে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করবো না। নির্বাচন কমিশন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। সেটাই আমরা চাই।'
ভোটে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আহ্বান জানানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা পর্যবেক্ষকদের আহ্বান করেছি। কারণ, আমাদের জনগণের ভোট চুরি করা লাগবে না। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস আমাদের ওপর আছে।'
দেশে জনগণের মধ্যে শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকার তুমুল জনপ্রিয়তার কথা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় উঠে আসার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স