ছবি: সংগৃহীত
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া প্রত্যাহারে সরকারের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের ‘গোপন সমঝোতা’ হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আরপিও বাতিলের যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা “অতি ন্যক্কারজনক, অগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”।
দলটির বিবৃতিতে দাবি করা হয়, গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচনে জোট গঠিত হলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান সংযোজন করে আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জামায়াতের অভিযোগ—বিএনপির একজন নেতার সঙ্গে সরকারের এক উপদেষ্টার ‘জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে সেই অনুমোদিত সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদিত আরপিও যদি বাতিল হয়, তাহলে নিরপেক্ষতা নষ্ট হবে—নির্বাচন আয়োজনও কঠিন হয়ে পড়বে।” তিনি আরও দাবি করেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ‘চুক্তি বা যোগসাজশ’ দিয়ে যদি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নষ্ট করা হয়, তাহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না।
বিবৃতিতে জাতীয় স্বার্থে আরপিও বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয় এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে শনিবার জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরও আরপিও সংশোধনের ‘চেষ্টা’কে সরকারের পক্ষ থেকে ‘একটি দলের কাছে নতি স্বীকার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেন।