সক্রিয় বেনজীরের প্রেতাত্মা
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১১-০৯-২০২৪ ১১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১১-০৯-২০২৪ ১১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয়। পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা বহাল তবিয়তে। এখনো তাদের অনেকের পরামর্শেই চলছে পুলিশের মতো সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনী। অথচ পুলিশের এই কর্মকর্তারাই বেনজীর আহমেদের ভয়াবহ দুর্নীতিতে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। নিজেরাও গড়েছেন দুর্নীতির পাহাড়। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সময়ে কিছুদিনের জন্য তাদের কেউ কেউ ঢাকার বাইরে যাওয়ায় তারা এখন নিজেদের উপস্থাপন করছেন বঞ্চিত হিসেবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বোতলেই ঢুকছে পুরনো মদ। বেনজীরের লোক বলে পরিচিত এসব কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের 'বঞ্চিত' বলে জাহির করারও চেষ্টা করেন। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। এসব গুলির ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। আন্দোলনে গুলি চালিয়ে লাশ ফেলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন শতাধিক পুলিশ সদস্য। একটি সংস্থার প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পলিসি মেকারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছেন। হাইওয়ে পুলিশকে সরাসরি গুলি করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বেনজীর আহমেদের কাছের লোক হিসেবেই তিনি বিগত সরকারের সময়ে পদোন্নতি ও পদায়নে সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিআইজি পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, অনেক সিনিয়র-জুনিয়র কর্মকর্তা নানাভাবে সাবেক আইজিপি বেনজীরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরবর্তী আইজিপি (সাবেক) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সময় তারা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়িত ছিলেন। নানা কায়দায় তারা বর্তমান সময়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এলিট ফোর্সের মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ১৫ ব্যাচের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। র্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে র্যাবকে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ ও অন্যান্য বল প্রয়োগের নির্দেশনার বিষয়ে খবর প্রচার না করতে গণমাধ্যমকে হুমকি দেন তিনি। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়োগবাণিজ্যে সিন্ডিকেটের সরাসরি নেতৃত্ব দেন এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর ঘুষ গ্রহণ করে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগবঞ্চিত করেন। এর বাইরেও পুলিশ সদর দপ্তরে আইসিটি শাখায় কর্মকালীন কেনাকাটা এবং সফটওয়্যার নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, বেনজীরের আরেক কাছের লোক রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য। রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে কর্মকালে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা রুজু, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে এনে অত্যাচারের জন্য সব এসপিকে প্রচ চাপ প্রয়োগ করে বেআইনি কার্যক্রম সম্পাদনে বাধ্য করতেন। সূত্র জানায়, এপিবিএন-এর প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন ১৫ বিসিএস-এর অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মো. জাহাঙ্গীর। ডিআইজি হিসেবে দীর্ঘদিন এনএসআইতে কাজ করেছেন। একই সঙ্গে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কাজ করেছেন। এপিবিএনএর প্রধান হিসেবে ফোর্সকে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বেনজীর আহমেদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কর্মকর্তাও গোপালগঞ্জের প্রভাব খাটিয়ে আসছিলেন। পুলিশের ১৭ ব্যাচের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বশির আহম্মদ। পুলিশ টেলিকমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত। বিগত সরকারের সময়ে পদোন্নতি ও পদায়নে সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী। পুলিশের ১৭ ব্যাচের স্বঘোষিত এডিশনাল আইজিপি মো. মীজানুর রহমান। আরআরএফ পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ এবং ভূমিদস্যু হিসেবে জমি দখলের অভিযোগে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার বাসিন্দা হওয়ার কারণে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে চাকরি বিধিমালাকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা গ্রহণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, ১৮ বিসিএসের ডিআইজি রেজাউল হায়দার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত। ১৮ বিসিএসের কর্মকর�bd-pri
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স