দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্রে করে নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি সাজাতে চাইছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। পঞ্চম দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এমন কর্মসূচি চলবে। শুধু তাই নয়, একতরফা তফসিল ঘোষণা হলে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিসহ তাদের সঙ্গে থাকা অন্যান্য দলগুলো।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের সময় সংঘর্ষের পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বেশিরভাগই এখন কারাগারে। সে সঙ্গে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে অনেকে আছেন কৌশলী অবস্থানে। রাজপথে চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন দলটির মাঝারি সারি ও মাঠ পর্যায়ের নেতারা। তফসিলকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা করছে দলটি। চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রেখে আন্দোলন আরও জোরদারের চিন্তা করছে দলটির হাইকমান্ড।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে সোমবার সকালে মিছিল বের করে শাহবাগ থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে সামনে থাকা যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। আর, শান্তিনগরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও মতিঝিলে বের হয় যুবদলের মিছিল। এছাড়াও অবরোধের পক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের করে ছাত্রদল কৃষক দল ও মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা।
পুরান পল্টন, বিজয় নগর ও কাকরাইল এলাকায় মিছিল করে ভিপি নুরের গণঅধিকার পরিষদ। এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাগপা, লেবার পার্টি ও এনপিপির নেতা-কর্মীরাও অবরোধের পক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে। এ সময় সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান দলগুলোর নেতারা।
সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার দাবি জানান তারা। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার গ্রাম ও ইউনিয়নে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো আরেকটা নীলনকশার নির্বাচনের সহযোগী হবেন না। তাহলে, মানুষ সরকারের মতো আপনাদেরও গণদুশমন হিসেবে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করবে। সুতরাং তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখুন। ভোট ডাকাতদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন না।
দুপুরে পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শেষে বিজয়নগর মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তফসিল তফসিল নাটক করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না। আপনারা তফসিল ঘোষণা করে বাসায় ফিরতে পারবেন না, আমরা জনগণকে নিয়ে রাজপথে প্রতিহত করব।
শরিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মাঠে সরক থাকলেও, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কোন কর্মসূচিতে দলটির শীর্ষ থেকে শুরু করে মাঝারি সারির নেতাদের দেখা যায়নি। তারা আড়াল থেকেই দলের কর্মসূচি ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি সূত্র বলছে, তফসিল ঘোষণার পর কারাগারের বাইরে থাকা দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা আবারও মাঠে সক্রিয় হবেন।
সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, এই কর্মসূচি শেষ হলে একদিনের বিরতি দিয়ে সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে আরও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
এই মুহূর্তে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান খোকন প্রমুখ দলের মহাসমাবেশ ও সহিংসতার পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান এখন রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা গোপনে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির এক ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরাও গোপন আস্তানা থেকে নেতা-কর্মীদের পথ দেখাচ্ছেন। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ,একাত্ত/টিভি
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের সময় সংঘর্ষের পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বেশিরভাগই এখন কারাগারে। সে সঙ্গে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে অনেকে আছেন কৌশলী অবস্থানে। রাজপথে চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন দলটির মাঝারি সারি ও মাঠ পর্যায়ের নেতারা। তফসিলকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা করছে দলটি। চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রেখে আন্দোলন আরও জোরদারের চিন্তা করছে দলটির হাইকমান্ড।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে সোমবার সকালে মিছিল বের করে শাহবাগ থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিল শেষে সামনে থাকা যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। আর, শান্তিনগরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও মতিঝিলে বের হয় যুবদলের মিছিল। এছাড়াও অবরোধের পক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের করে ছাত্রদল কৃষক দল ও মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা।
পুরান পল্টন, বিজয় নগর ও কাকরাইল এলাকায় মিছিল করে ভিপি নুরের গণঅধিকার পরিষদ। এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, জাগপা, লেবার পার্টি ও এনপিপির নেতা-কর্মীরাও অবরোধের পক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে। এ সময় সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান দলগুলোর নেতারা।
সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার দাবি জানান তারা। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার গ্রাম ও ইউনিয়নে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো আরেকটা নীলনকশার নির্বাচনের সহযোগী হবেন না। তাহলে, মানুষ সরকারের মতো আপনাদেরও গণদুশমন হিসেবে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করবে। সুতরাং তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখুন। ভোট ডাকাতদের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন না।
দুপুরে পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শেষে বিজয়নগর মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তফসিল তফসিল নাটক করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না। আপনারা তফসিল ঘোষণা করে বাসায় ফিরতে পারবেন না, আমরা জনগণকে নিয়ে রাজপথে প্রতিহত করব।
শরিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মাঠে সরক থাকলেও, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কোন কর্মসূচিতে দলটির শীর্ষ থেকে শুরু করে মাঝারি সারির নেতাদের দেখা যায়নি। তারা আড়াল থেকেই দলের কর্মসূচি ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি সূত্র বলছে, তফসিল ঘোষণার পর কারাগারের বাইরে থাকা দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা আবারও মাঠে সক্রিয় হবেন।
সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, এই কর্মসূচি শেষ হলে একদিনের বিরতি দিয়ে সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে আরও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
এই মুহূর্তে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান খোকন প্রমুখ দলের মহাসমাবেশ ও সহিংসতার পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান এখন রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা গোপনে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির এক ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরাও গোপন আস্তানা থেকে নেতা-কর্মীদের পথ দেখাচ্ছেন। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ,একাত্ত/টিভি