মাত্র ১২ টাকা দিলেই মিলবে পাপ মুক্তি

আপলোড সময় : ০৪-১১-২০২৩ ০৫:১৯:৩২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-১১-২০২৩ ০৫:১৯:৩২ অপরাহ্ন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিতঅসংখ্য তীর্থযাত্রী তাদের পাপ ধুয়ে ফেলতে গঙ্গা নদীতে ডুব দেন। কিন্তু ভারতের দক্ষিণ রাজস্থানের একটি মন্দির আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধতা দেয় যে, মন্দিরের 'কুণ্ডে' ডুব দিলে একজন ব্যক্তি যে কোনো পাপ থেকে মুক্তি পাবেন। শুধু তাই নয় মাত্র ১২ টাকা দিলেই মিলবে পাপ মুক্তির সার্টিফিকেট।

ভারতের দক্ষিণ রাজস্থানের প্রতাপগড় জেলায় রয়েছে মন্দিরটি। জয়পুর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দির। যাকে মরুরাজ্যে অন্যতম জাগ্রত মন্দির বলেই মান্য করা হয়। শংসাপত্রটি মন্দির ট্রাস্ট দ্বারা জারি করা হয় যা রাজ্য সরকারের দেবস্থান বিভাগের অধীনে আসে। যদিও শংসাপত্রের সন্ধানকারীর সংখ্যা সীমিত এবং মন্দিরের 'মন্দাকিনী কুন্ড'- এ ডুব দেয়ার জন্য বছরে প্রায় ২৫০-৩০০ টি শংসাপত্র জারি করা হয়।

কবে থেকে এই অনুশীলন শুরু হয়েছিল তার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় না তবে বলা হয় যে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি প্রাণী হত্যা করার "পাপ" করেছেন বা তাদের নিজস্ব জাত বা সম্প্রদায়ের দ্বারা বয়কট করা হয়েছে তারা ডুব দেয়ার পরে একটি শংসাপত্র পেতে চায়। শংসাপত্রগুলি তখন প্রমাণ হিসাবে কাজ করে যে তারা তাদের আর কোনো "পাপ" বহন করছে না। মন্দিরের শংসাপত্রে লেখা থাকে , "গ্রামের পঞ্চায়েতের সদস্যদের জানা উচিত যে উক্ত ব্যক্তি শ্রী গৌতমেশ্বর জির 'মন্দাকিনী পাপ মোচিনী গঙ্গা কুণ্ডে' স্নান করেছিলেন, যেখানে মানুষ প্রায়শ্চিত্ত করে ।

তাই তাদের পাপমুক্তির  এই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। দয়া করে তাকে  সমাজে ফিরিয়ে নিন।''

স্থানীয় সরপঞ্চ উদয় লাল মীনা বলেছেন, 'মন্দাকিনী কুণ্ডে' যদি কেউ ডুব দেন, তবে সেই খবর জানানো হয় গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যদের। এর পর পাপের দায়ে একঘরে হওয়া ব্যক্তিকে ফেরানো হয় সমাজে। ১২ টাকার শংসাপত্র স্বাক্ষর করেন সরকারি আমিন। বিশ্বাস করা হয় যে বিখ্যাত হিন্দু ঋষি মহর্ষি গৌতম এখানে ডুব দিয়ে গরু হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই এই রীতি চলে আসছে। কথিত আছে মন্দিরটি শিবের উদ্দেশ্যে উত্সর্গীকৃত এবং বলা হয় যে গজনীর মাহমুদ মন্দিরটি আক্রমণ করে 'শিবলিঙ্গ' ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সেখান থেকে মৌমাছির ঝাঁক বেরিয়ে আসে এবং গজনীর লোকেদের আক্রমণ করে। স্থানীয় সরপঞ্চ উদয় লাল মীনা জানাচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সময়ে মন্দিরটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করে।

সূত্র : এনডিটিভি

 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক  ঃ এম,এ,কাশেম পাপ্পু 

সম্পাদক ঃ জসীম হোসেন নিরব

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ঃ মোঃ ছগীর আহমেদ 

বার্তা প্রধান ঃ মাহতাব শফি 

আইন উপদেষ্টা ঃ অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম 

সর্ব স্বত্ব ও স্বত্বাধিকার ঃ বাংলারজমিন২৪ মিডিয়া (প্রাঃ) লিঃ

অফিস :

অফিস : ২৫ (ষষ্ঠ তলা) রবিন্দ্র সরনি ,সেক্টর-৩ ,উত্তরা ,ঢাকা-১২৩০।

ইমেইল :[email protected]

মোবাইল : ০১৭০৭০৭৮৭১৩