দীর্ঘদিন পর আবারও হরতালের ডাক দিল বিএনপি। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে হরতাল আত্মঘাতি এবং হরতাল পালিত হলে একদিনে আর্থিক ক্ষতি অন্তত ছয় হাজার ছয় শ আশি কোটি টাকা বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর।
মাহফুজ কবীর বলেন, ২০২৩ সালের অর্থনীতির আকার বিবেচনায় হরতাল পালিত হলে একদিনে আর্থিক ক্ষতি অন্তত ছয় হাজার ছয় শ আশি কোটি টাকা।
নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। সরকারের পদত্যাগ চেয়ে রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। মোকাবিলায় কর্মসূচি ছিল আওয়ামী লীগেরও। সংঘর্ষে জড়িয়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।
২০১৪ সালের নির্বাচন ঘিরেও জ্বালাও পোড়াও দেখা যায় বিএনপি-জামায়াতের। সে সময় রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানার উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ে। এর পর দীর্ঘদিন এমন সংঘাত দেখা যায়নি। এতে সুফলও পেয়েছে অর্থনীতি। ৬ শতাংশের ওপর ধারাবাহিক গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্টের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সাথে মানুষের মাথাপিছু আয় ছাড়ায় দুই হাজার আট শ ডলার। তাই অর্থনীতির স্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চান ব্যবসায়ীরা।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ জানান, সংঘাতের মাধ্যমে যদি সমস্যা সমাধান হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও সমস্যার মধ্যে পড়ে। বিদেশি ইনভেস্টররা যদি বাংলাদেশের এ অস্থির চিত্র দেখে তাহলে তারাও ইনভেস্টমেন্টে শঙ্কিত হয়ে পড়েন।
১০ বছর আগে ঢাকা চেম্বারের এক গবেষণায় বেরিয়ে আসে, একদিনের হরতালে আর্থিক ক্ষতি, এক হাজার ছয় শ কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে অর্থনীতির আকার ৪ গুণ বেড়েছে। আবার হরতাল শুরু হলে ক্ষতিও বাড়বে সে হারে।
মাহফুজ কবীর বলেন, ২০২৩ সালের অর্থনীতির আকার বিবেচনায় হরতাল পালিত হলে একদিনে আর্থিক ক্ষতি অন্তত ছয় হাজার ছয় শ আশি কোটি টাকা।
নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। সরকারের পদত্যাগ চেয়ে রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। মোকাবিলায় কর্মসূচি ছিল আওয়ামী লীগেরও। সংঘর্ষে জড়িয়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি।
২০১৪ সালের নির্বাচন ঘিরেও জ্বালাও পোড়াও দেখা যায় বিএনপি-জামায়াতের। সে সময় রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানার উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ে। এর পর দীর্ঘদিন এমন সংঘাত দেখা যায়নি। এতে সুফলও পেয়েছে অর্থনীতি। ৬ শতাংশের ওপর ধারাবাহিক গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্টের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সাথে মানুষের মাথাপিছু আয় ছাড়ায় দুই হাজার আট শ ডলার। তাই অর্থনীতির স্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চান ব্যবসায়ীরা।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ জানান, সংঘাতের মাধ্যমে যদি সমস্যা সমাধান হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও সমস্যার মধ্যে পড়ে। বিদেশি ইনভেস্টররা যদি বাংলাদেশের এ অস্থির চিত্র দেখে তাহলে তারাও ইনভেস্টমেন্টে শঙ্কিত হয়ে পড়েন।
১০ বছর আগে ঢাকা চেম্বারের এক গবেষণায় বেরিয়ে আসে, একদিনের হরতালে আর্থিক ক্ষতি, এক হাজার ছয় শ কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে অর্থনীতির আকার ৪ গুণ বেড়েছে। আবার হরতাল শুরু হলে ক্ষতিও বাড়বে সে হারে।