আজ ১৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ, ০২ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ সকাল ০৮.৩০ ঘটিকায় বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন, খুলনার আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালী, বেলুন ও ফেস্টুন উড্ডয়ন এবং শহীদ শেখ রাসেল এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উপলক্ষে "শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি নগর ভবন ঘুরে শহীদ খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে এসে শেষ হয়।
র্যালী শেষে কেএমপি'র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে অবস্থিত শহীদ শেখ রাসেল এঁর প্রতিকৃতিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বলেন, "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ট পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের আজ ৬০তম জন্মদিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য নরঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাঁকেও হত্যা করেছিল। সে সময় তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন 'শেখ রাসেল দিবস' হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য 'শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়'। শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকত, তাহলে হয়তো একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারত।'
শেখ রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তা। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর ও তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের এই দিনে সমগ্র জাতি শেখ রাসেলের পবিত্র আত্মার স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। শেখ রাসেল দিবসে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে শাহাদতবরণকারী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, শেখ রাসেলসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।পৃথিবীর সকল শিশু বেড়ে উঠুক প্রকৃতির অবারিত ক্ষেত্রে ফুল, পাখী, গাছপালা নিয়ে আপন মননে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং নিরন্তর ভালবাসাময়, আনন্দময় ভয়ডরহীন শতভাগ নিরাপদ পরিবেশে।"
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক; খুলনার বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ; কেএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) জনাব সরদার রকিবুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জনাব মোঃ সাজিদ হোসেন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) জনাব মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; খুলনার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খন্দকার ইয়াসির আরেফীন; কেএমপি'র ঊর্ধ্বতন পুলিম কর্মকর্তাবৃন্দ-সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভাগীয় প্রশাসন ও খুলনা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ।kmp/fb