পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠি গ্রামে ফিরোজ মাঝি (২২) নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম এবং বিচারপতি কে.এম. ইমরুল কায়েশ এর দ্বৈত বেঞ্চ ১০ আসামিদের কে খালাস করে রায় দেন।
১০ আসামির মধ্যে তিনজনের ফাঁসির আদেশ ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কালিকাঠি গ্রামের আমীর আলী খানের ছেলে রেজাউল খাঁন (২৪), মৃত আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে শাহিনুর রহমান মোল্লা ওরফে শানু (৪০) এবং হাকিম বেপারীর ছেলে মিজান বেপারী (২৭)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের রেজাউলের মা রেকসনা (৪০), হালিম আকনের ছেলে নিজাম আকন (১৮), আনছার উদ্দিন শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৩), মোজাম্মেল হোসেন শেখের ছেলে ওমর ফারুক মিঠু (২৪), হাবিবুর রহমান মাতুব্বরের ছেলে মামুন মাতুব্বর (১৯), হাকিম তালুকদারের ছেলে লিমন তালুকদার (১৯) এবং সেলিমের ছেলে রাসেল (২২)।
এর আগে ৩১ জুলাই ২০১৭ সালে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান তাদের সাজার রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফিরোজ সম্পর্কে রেজাউলের ফুফাতো ভাই এবং তারা একই এলাকার বাসিন্দা। ফিরোজের বোনকে দীর্ঘদিন বিয়ে করার জন্য পীড়াপীড়ি করছিলেন রেজাউল। পরবর্তীতে ফিরোজের মা তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় রেজাউল ও তার মা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা ঝগড়া বিবাদ ও সালিশের ঘটনাও ঘটে।
সর্বশেষ ২০১২ সালের ৪ মার্চ রাতে ইসলামি মাহফিল থেকে ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রেজাউলসহ ১২-১৪ জন যুবক ফিরোজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে চলে যান। এতে ঘটনাস্থলেই ফিরোজের মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ রেজাউলসহ চারজনকে আটক করে। পরের দিন নিহত ফিরোজের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় ১০ জন নামীয় এবং আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং অন্যান্য তথ্য প্রমাণাদি যাচাই শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১০ জন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল ও শানু উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর পলাতক রয়েছে।
আসামিপক্ষ উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করেন এবং দীর্ঘ আপিল শুনানি শেষে আজ সবাইকে খালাস দেন আদালত।c24
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম এবং বিচারপতি কে.এম. ইমরুল কায়েশ এর দ্বৈত বেঞ্চ ১০ আসামিদের কে খালাস করে রায় দেন।
১০ আসামির মধ্যে তিনজনের ফাঁসির আদেশ ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কালিকাঠি গ্রামের আমীর আলী খানের ছেলে রেজাউল খাঁন (২৪), মৃত আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে শাহিনুর রহমান মোল্লা ওরফে শানু (৪০) এবং হাকিম বেপারীর ছেলে মিজান বেপারী (২৭)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের রেজাউলের মা রেকসনা (৪০), হালিম আকনের ছেলে নিজাম আকন (১৮), আনছার উদ্দিন শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৩), মোজাম্মেল হোসেন শেখের ছেলে ওমর ফারুক মিঠু (২৪), হাবিবুর রহমান মাতুব্বরের ছেলে মামুন মাতুব্বর (১৯), হাকিম তালুকদারের ছেলে লিমন তালুকদার (১৯) এবং সেলিমের ছেলে রাসেল (২২)।
এর আগে ৩১ জুলাই ২০১৭ সালে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান তাদের সাজার রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফিরোজ সম্পর্কে রেজাউলের ফুফাতো ভাই এবং তারা একই এলাকার বাসিন্দা। ফিরোজের বোনকে দীর্ঘদিন বিয়ে করার জন্য পীড়াপীড়ি করছিলেন রেজাউল। পরবর্তীতে ফিরোজের মা তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় রেজাউল ও তার মা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা ঝগড়া বিবাদ ও সালিশের ঘটনাও ঘটে।
সর্বশেষ ২০১২ সালের ৪ মার্চ রাতে ইসলামি মাহফিল থেকে ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রেজাউলসহ ১২-১৪ জন যুবক ফিরোজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে চলে যান। এতে ঘটনাস্থলেই ফিরোজের মৃত্যু হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ রেজাউলসহ চারজনকে আটক করে। পরের দিন নিহত ফিরোজের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় ১০ জন নামীয় এবং আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং অন্যান্য তথ্য প্রমাণাদি যাচাই শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১০ জন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল ও শানু উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর পলাতক রয়েছে।
আসামিপক্ষ উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করেন এবং দীর্ঘ আপিল শুনানি শেষে আজ সবাইকে খালাস দেন আদালত।c24