গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ২ পরিবার ঢাকাস্থ জেএস ফাষ্ট ভিসা সার্ভিস'র খপ্পরে সর্বশান্ত হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের সুবর্ণদহ গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে সাজু ও শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ছাইদুর রহমানকে ওমান দেশে পাঠানোর নামে সাড়ে ৯ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় ৩ প্রতারক।
এরা হলেন, ঢাকাস্থ খিলক্ষেত রোড নং-১৮, নিকুঞ্জণ-২, হাউস নং-৯ -এর ৫ম তলায় অবস্থিত জেএস ফাষ্ট ভিসা সার্ভিস'র চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, পরিচালক অনিক ওরফে শক্তি (ছদ্মনাম) ও তাদের সহযোগী ফেরদৌস মিয়া।
তাদের মধ্যে জামাল হোসেন (৩৮) নরসিংদী সদরের বুক্তা ভাটপাড়াস্থ লাল মিয়ার ছেলে, একই এলাকার অনিক ওরফে শক্তি (৩৮) ও রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পূর্ব ইমাদপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে ফেরদৌস মিয়া (৩৫)। প্রতারিত আব্দুর রহিম ওরফে সাজু ও তাঁর খালু শ্বশুড় ছাইদুর রহমান জানান- 'ফেরদৌস মিয়ার প্রস্তাবে রাজী হয়ে উক্ত জেএস ফাষ্ট ভিসা সার্ভিস'র চেয়ারম্যান ও পরিচালকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই।
সে কথামতো যথাসময়ে পুরো টাকা বুঝে দিই। তারপর থেকে জামাল হোসেন তার(০১৩২৪৯৪৩২৭০) মোবাইল নম্বর বন্ধ করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে। এখন অনিক ওরফে শক্তি ও ফেরদৌস মিয়া গাঁ ঢাকা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। আমাদের গরীব সংসার থেকে এতগুলো টাকা সংগ্রহ করতে না পেয়ে চড়াসুদে টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এখন আমরা সর্বশান্ত'।
জামাল হোসেনকে মোবাইলফোনে না পেয়ে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে অনিক ওরফে শক্তি বলেন- 'জামাল হোসেন আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ও পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় একসঙ্গে জেএস ফাষ্ট ভিসা সার্ভিস'র মাধ্যমে লোক বিদেশে পাঠাই।
আব্দুর রহিম ওরফে সাজু ও তার খালু শ্বশুড় ছাইদুর রহমানকে ওমানে পাঠানোর জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছি। জামাল হোসেন এখন মোবাইলফোন বন্ধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে। মাঝে মধ্যে তাকে হোয়াটসএ্যাপ, ইমোতে পাওয়া যায় নগ করলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। ঘটনা তার বাবাকে বললে তিনি উল্টো ঝাড়ি মারেন', আমি সাজু ও তার খালু শ্বশুড়ের পাওনা টাকার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে দিয়েছি'। ফেরদৌস মিয়া বলরন- 'জামাল হোসেন ও শক্তিকে চিনি বলেই তো সাজু ও তার খালু শ্বশুড়কে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছি'।