গত তিন মাস বন্ধ রাখার পর আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে সুন্দরবন। প্রতিবছরের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ। মূলত এই সময়ে বনের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় জেলে-বাওয়ালিদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তবে বছরের বাকি সময়টায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ভ্রমণপিপাসু টুরিস্ট ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে। সুন্দরবন একেক ঋতুতে একেক রূপে ধরা দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে। সাধারণত পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সময় বর্ষাকাল। এ সময়ে বনের সবুজ সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় পর্যটকরা। বর্ষার আগমনে প্রকৃতি ফিরে পায় তার চিরচেনা রূপ। এ সময় বনের বুক চিরে বয়ে চলা নদী ও খালে লবণাক্ততা হ্রাস পায়। ফলে এই তিন মাসে, প্রকৃতি নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে নেয়ার অবকাশ পায়।
যারা সুন্দরবন ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য ভ্রমণের পূর্বে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ বিবেচনা করা যেতে পারে।
১. মূলত সুন্দরবন ভ্রমণ করা যায় খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে। একদিনে সুন্দরবন ঘুরে দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে মোংলা থেকে করমজল অথবা হাড়বাড়িয়ায়, খুলনা থেকে কালাবগী অথবা শেখেরটেক এবং সাতক্ষীরা থেকে কলাগাছি পয়েন্টে। তবে হাড়বাড়িয়া ও শেখেরটেক থেকে যেতে হলে বন বিভাগের আলাদা অনুমতির প্রয়োজন পড়বে।
২. বাগেরহাটের মোংলা থেকে পশুর নদ হয়ে করমজল ও হাড়বাড়িয়া, খুলনা থেকে রূপসা-শিবসা নদী হয়ে কালাবাগী ও শেখেরটেক এবং সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ থেকে কলাগাছি ট্রলার নিয়ে যাওয়া যায়। পর্যটকদের সুন্দরবন ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য বাগেরহাটের মোংলা, খুলনার চালনা ও সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অনেক ট্রলার এই সেবা দিয়ে থাকে।
৩. ট্রলারে করে করমজল, কালাবগী ও কলাগাছি পর্যটন স্পটগুলো যাওয়া-আসাসহ ট্রলারপ্রতি খরচ হবে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে মোংলা থেকে হাড়বাড়িয়া ও শেখের টেক পয়েন্ট যেতে খরচ হবে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ জন পর্যন্ত যাওয়া যায়। তার জন্য বন বিভাগের অনুমতি ট্রলার চালকেরাই সংগ্রহ করে থাকেন। তবে সেক্ষেত্রে রয়েছে পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত ট্রাভেল ট্রাক্স।
৪. ট্যুর অপারেটরদের সাহায্য নিয়ে সুন্দরবনে রাত্রি যাপন করা যাবে। সাধারণত ৩ দিন ২ রাত প্যাকেজ আকারে সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ দেয় বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর কোম্পানি। সেক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণের অনুমতিসহ যাবতীয় তদারকির দায়িত্ব নেবে তারাই।
৫. খুলনা ও সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ ঘাট থেকেও সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। একটি ট্রলারে ১০ থেকে ১৫ জনের মতো থাকার সুবিধা রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ট্রলারে বনরক্ষী ও গাইড থাকবেন। এ ক্ষেত্রে পর্যটকদের পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখানো হয়। ২ রাত ৩ দিন অবাধে বনে বিচরণের সুযোগ এই ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।
৬. ঢাকা, খুলনা ও মোংলায় রয়েছে বহু ট্যুর অপারেটর কোম্পানি। প্যাকেজ ট্যুর অফারে সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, জামতলা সমুদ্রসৈকত, দুবলারচর, হিরণ পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধুর চরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে বেড়ানো যায়।
৭. সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বনে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্লাস্টিকের বোতল ও ওয়ান টাইম ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
৮. পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণে বন বিভাগের অনুমতি পাওয়ার জন্য অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র।
৯. সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । কোনো ধরনের ক্ষতিকর অস্ত্র বহন করা যাবে না। কোনো পর্যটক নিষিদ্ধ বস্তু বহন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বন বিভাগ। বনের পশুপাখিরা বিরক্ত হয়, এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে পর্যটকদের।
তবে বছরের বাকি সময়টায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ভ্রমণপিপাসু টুরিস্ট ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে। সুন্দরবন একেক ঋতুতে একেক রূপে ধরা দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে। সাধারণত পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সময় বর্ষাকাল। এ সময়ে বনের সবুজ সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় পর্যটকরা। বর্ষার আগমনে প্রকৃতি ফিরে পায় তার চিরচেনা রূপ। এ সময় বনের বুক চিরে বয়ে চলা নদী ও খালে লবণাক্ততা হ্রাস পায়। ফলে এই তিন মাসে, প্রকৃতি নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে নেয়ার অবকাশ পায়।
যারা সুন্দরবন ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য ভ্রমণের পূর্বে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ বিবেচনা করা যেতে পারে।
১. মূলত সুন্দরবন ভ্রমণ করা যায় খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে। একদিনে সুন্দরবন ঘুরে দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে মোংলা থেকে করমজল অথবা হাড়বাড়িয়ায়, খুলনা থেকে কালাবগী অথবা শেখেরটেক এবং সাতক্ষীরা থেকে কলাগাছি পয়েন্টে। তবে হাড়বাড়িয়া ও শেখেরটেক থেকে যেতে হলে বন বিভাগের আলাদা অনুমতির প্রয়োজন পড়বে।
২. বাগেরহাটের মোংলা থেকে পশুর নদ হয়ে করমজল ও হাড়বাড়িয়া, খুলনা থেকে রূপসা-শিবসা নদী হয়ে কালাবাগী ও শেখেরটেক এবং সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ থেকে কলাগাছি ট্রলার নিয়ে যাওয়া যায়। পর্যটকদের সুন্দরবন ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য বাগেরহাটের মোংলা, খুলনার চালনা ও সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অনেক ট্রলার এই সেবা দিয়ে থাকে।
৩. ট্রলারে করে করমজল, কালাবগী ও কলাগাছি পর্যটন স্পটগুলো যাওয়া-আসাসহ ট্রলারপ্রতি খরচ হবে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে মোংলা থেকে হাড়বাড়িয়া ও শেখের টেক পয়েন্ট যেতে খরচ হবে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ জন পর্যন্ত যাওয়া যায়। তার জন্য বন বিভাগের অনুমতি ট্রলার চালকেরাই সংগ্রহ করে থাকেন। তবে সেক্ষেত্রে রয়েছে পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত ট্রাভেল ট্রাক্স।
৪. ট্যুর অপারেটরদের সাহায্য নিয়ে সুন্দরবনে রাত্রি যাপন করা যাবে। সাধারণত ৩ দিন ২ রাত প্যাকেজ আকারে সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ দেয় বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর কোম্পানি। সেক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণের অনুমতিসহ যাবতীয় তদারকির দায়িত্ব নেবে তারাই।
৫. খুলনা ও সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ ঘাট থেকেও সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। একটি ট্রলারে ১০ থেকে ১৫ জনের মতো থাকার সুবিধা রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ট্রলারে বনরক্ষী ও গাইড থাকবেন। এ ক্ষেত্রে পর্যটকদের পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখানো হয়। ২ রাত ৩ দিন অবাধে বনে বিচরণের সুযোগ এই ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।
৬. ঢাকা, খুলনা ও মোংলায় রয়েছে বহু ট্যুর অপারেটর কোম্পানি। প্যাকেজ ট্যুর অফারে সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, জামতলা সমুদ্রসৈকত, দুবলারচর, হিরণ পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধুর চরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে বেড়ানো যায়।
৭. সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বনে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্লাস্টিকের বোতল ও ওয়ান টাইম ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
৮. পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণে বন বিভাগের অনুমতি পাওয়ার জন্য অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র।
৯. সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । কোনো ধরনের ক্ষতিকর অস্ত্র বহন করা যাবে না। কোনো পর্যটক নিষিদ্ধ বস্তু বহন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বন বিভাগ। বনের পশুপাখিরা বিরক্ত হয়, এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে পর্যটকদের।