কাঁঠালিয়া সংবাদদাতা
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি কাঠালিয়া উপজেলার ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায় একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করলেও ভয়ে ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার নাইমের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না কেউ" দুয়েকজন প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করা হয়ে থাকে'জানা গেছে, টিআর, জিআর, কাবিখা, এডিপি,এলজিএসপি, ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা(কাবিটা) ইত্যাদি প্রকল্পসহ সরকারি বরাদ্দে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
কয়েক বছর আগে কর্মসূচীর টাকার কমিশন ভাগাভাগি নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ক্লার্ক হুমায়ুন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানগণ প্রকাশ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।কর্মসৃজন কর্মসূচীর টাকার নির্ধারিত কমিশন না পাওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হুমায়ুনকে গালাগালি করা হয়। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে নানা অনিয়ম করা হয়েছে।
ঘর প্রতি ৫০০০০ টাকা করে নেয় নাইম, ঘরের টিকিট না দিয়ে ঘরে অন্য লোক তুলে দেয়, বিভিন্ন দিবস উদযাপনের নামে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা উঠানো হয়। এটাকা উঠানোর কাজ করেন ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কমর্কর্তা মোঃ নাইমুল ইসলাম নাইম,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা মোড়ের এক ব্যবসায়ী জানান, বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য ৪০ হাজার টাকার জন্য ইউএনও অফিসের সহকারী কমর্কর্তা নাইমুল ইসলাম নাইম আসেন। নির্ধারিত টাকা না দিলে ইউএনও স্যার ক্ষতি করতে পারেন এই ভয়ে তিনি ৪০ হাজার টাকায় নাইমের হাতে তুলে দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাঠালিয়া উপজেলার একাধিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, আমাদের পরিষদের বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করার জন্য নিয়মিত টাকা দিতে হয় ইউএনও অফিসের নাইমকে তাছাড়া টিআর-কাবিখাসহ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১০শতাংশ কমিশন দিতে হয়। এডিপির টাকা ইউএনও অফিসের নাইম ইচ্ছামত ভাগ-বাঁটোয়ারা করা হয়ে থাকে। হয়রানি হওয়ার ভয়ে আমরা ইউএনও অফিসের নাইমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারি না।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মুঠোফোনে বলেন
নাইমুল ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে দুনীতি অভিযোগ শুনেছি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে"
এ ব্যাপারে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন মুঠোফোনে আমি নতুন যোগদান করছি তবে নাইমের বিরুদ্ধে নানারকম দুনীতির অভিযোগ শুনেছি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে" মোঃনাইমুল ইসলাম নাইম মুঠোফোনে জানান, টিআর, জিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপি, ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা(কাবিটা) এগুলিতো ইউএনও অফিসের কাজ না।
আর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘর নির্মাণে সম্পূর্ন সরকারি খরচে করা হয়েছে। কারও কাছ থেকে কোন সুবিধা নেওয়া হয়নি। আর বালি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান,আমার অফিস সব সময় স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করে থাকে। নাইম ইউএনও অফিসে মেয়ে নিয়ে ধরা খায় তা সাবাই জানে, বাল্যবিবাহের কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছে সেই টাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সামনে ফেরত দেয় "নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ১০% কমিশন খায় নাইম, ইউএনও অফিসের লোয়ার বিহীন রাতে আধারে বিক্রি করে দিয়েছে, বাড়ির সামনে সরকারের বরাদ্দে রাস্তা নিয়েছে, আমুয়া বন্দরে একুশ শতাংশ জমি কিনেছে, সরকারি বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা কলেজ নিয়োগের মাধ্যমে ২০% কমিশন খায় নাঈম"পঞ্চম পর্ব চোখ রাখুন ষষ্ঠতম পর্বে