ঘটনা কাদম্বরীর মতোই, যে ‘মরিয়া’ প্রমাণ করতে হয়েছিল যে সে আসলে মরে নাই। জিনাত আরা খাতুনও আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুখ থেকে তালাকের স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে অন্তত এটা বোঝাতে পেরেছেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রী ছিলেন। ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম জিনাতকে বিয়ে করেননি বলেছিলেন। অথচ এখন বলছেন, তিনি নাকি তাঁকে আগেই তালাক দিয়েছিলেন।
স্ত্রী-কাণ্ডে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে অবশ্য এরই মধ্যে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর নামের পাশে বর্ণিত পদে বদলিপূর্বক নিয়োগ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ঘটনার শুরু গত বুধবার। ওই দিন বিকেলে জিনাত আরা খাতুন নামের এক নারী তাঁর একটি শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে আরিফুল ইসলামের স্ত্রীর মর্যাদার দাবি করে ইউএনও কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে অনশন করেন। জিনাতের দাবি, তিনি ইউএনও আরিফুল ইসলামের বিবাহিত স্ত্রী। তাঁর একটি শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক।
জিনাত সে সময় জানান, আক্কেলপুরের বর্তমান ইউএনও আরিফুল ইসলাম এর আগে দিনাজপুর সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন একটি জমি খারিজ করতে গিয়ে তাঁদের পরিচয় হয়। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন করে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে রেজিস্ট্রি মূলে রংপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি রেস্ট হাউসে তাঁদের বিয়ে হয়।
জিনাতের অভিযোগ, বিয়ের বিষয়টি প্রথম থেকেই কৌশলে গোপন করেন আরিফুল। এমনকি তাঁকে গর্ভপাতেও বাধ্য করেন আরিফুল। অবশ্য পরে তাঁদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এরপরও জিনাতকে খাতুনকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান আরিফুল। এ অবস্থায় স্ত্রীর মর্যাদা পেতে বুধবার দুপুরে আক্কেলপুরের বর্তমান ইউএনওর বাংলোতে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে আসা পরিবারের সদস্যদের হেনস্তার পর বাইরে বের করে দেন নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা। তখন তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন ইউএনও। এসব ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কের যানবাহন আটকে অনশন শুরু করেন জিনাত।
জিনাত আরার ভাই মুক্তার হোসেন বলেন, ‘প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আরিফুল ইসলাম আমার বোনকে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে তিনি বিষয়টি গোপন করেন। তিনি তাঁর শিশু সন্তান এবং স্ত্রীকে মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। আমার বোনের স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে এখানে এলে তিনি আমাদের হেনস্তা করেছেন।’
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলার ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে (জিনাত আরা) তালাক দেওয়া হয়েছে। আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এটি একটি পারিবারিক বিষয়।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, ‘আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলমকে আক্কেলপুরে পদায়ন করা হয়েছে।’
স্ত্রী-কাণ্ডে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে অবশ্য এরই মধ্যে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর নামের পাশে বর্ণিত পদে বদলিপূর্বক নিয়োগ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ঘটনার শুরু গত বুধবার। ওই দিন বিকেলে জিনাত আরা খাতুন নামের এক নারী তাঁর একটি শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে আরিফুল ইসলামের স্ত্রীর মর্যাদার দাবি করে ইউএনও কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে অনশন করেন। জিনাতের দাবি, তিনি ইউএনও আরিফুল ইসলামের বিবাহিত স্ত্রী। তাঁর একটি শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক।
জিনাত সে সময় জানান, আক্কেলপুরের বর্তমান ইউএনও আরিফুল ইসলাম এর আগে দিনাজপুর সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন একটি জমি খারিজ করতে গিয়ে তাঁদের পরিচয় হয়। পরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন করে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে রেজিস্ট্রি মূলে রংপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি রেস্ট হাউসে তাঁদের বিয়ে হয়।
জিনাতের অভিযোগ, বিয়ের বিষয়টি প্রথম থেকেই কৌশলে গোপন করেন আরিফুল। এমনকি তাঁকে গর্ভপাতেও বাধ্য করেন আরিফুল। অবশ্য পরে তাঁদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এরপরও জিনাতকে খাতুনকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান আরিফুল। এ অবস্থায় স্ত্রীর মর্যাদা পেতে বুধবার দুপুরে আক্কেলপুরের বর্তমান ইউএনওর বাংলোতে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে আসা পরিবারের সদস্যদের হেনস্তার পর বাইরে বের করে দেন নিরাপত্তাকর্মী আনসার সদস্যরা। তখন তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন ইউএনও। এসব ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কের যানবাহন আটকে অনশন শুরু করেন জিনাত।
জিনাত আরার ভাই মুক্তার হোসেন বলেন, ‘প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আরিফুল ইসলাম আমার বোনকে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে তিনি বিষয়টি গোপন করেন। তিনি তাঁর শিশু সন্তান এবং স্ত্রীকে মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। আমার বোনের স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে এখানে এলে তিনি আমাদের হেনস্তা করেছেন।’
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলার ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে (জিনাত আরা) তালাক দেওয়া হয়েছে। আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এটি একটি পারিবারিক বিষয়।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, ‘আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলমকে আক্কেলপুরে পদায়ন করা হয়েছে।’