প্রায় অর্ধশত বছর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের দেয়া একটি ভাষণ। অথচও বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভাষণটি এখনও প্রাসঙ্গিক। কালজয়ী সেই ভাষণটি আবার বিশ্ব সভায় বাংলা ভাষার প্রথম উচ্চারণ।
বিশ্ব মোড়লদের কূটকৌশল আর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ১৩৬ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। যার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাঙালীর স্থায়ী ভিত প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ঠিক আট দিনের মাথায় পুরো পৃথিবী, প্রথম শোনে বিশ্বমঞ্চে বাংলা ভাষায় শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ উচ্চারণ।
সে সময় জাতিসংঘে ৬টি ভাষায় বক্তৃতা দেয়ার রেওয়াজ ছিল। যার মধ্যে বাংলা না থাকলেও বঙ্গবন্ধু নিজের মায়ের ভাষাকেই তুলে ধরেছিলেন বিশ্ব সভায়। সদ্য সদস্য দেশের সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলা ভাষা ও রাষ্ট্রকে তুলে আনে অনন্য উচ্চতায়।
২৯তম সাধারণ অধিবেশনে দেয়া সেই এই ভাষণ ছিলো জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ও শেষ ভাষণ। কিন্তু সেই একটি ভাষণেই তিনি গেঁথে দিয়েছেন বাঙালী জাতি ও বিশ্বের শোষিত মানুষের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।
একই সঙ্গে ভাষণটি ছিলো সারা বিশ্বের অধিকার হারা মানুষের উপর অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে পৃথিবী গড়ার প্রত্যয় ছিলো সেই ভাষণে। শুধু তাই নয়, আজকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বজুড়ে হাহাকার, অথচ ১৯৭৪ সালেই পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তবে ৭৫ পরবর্তী অন্ধকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী এই ভাষটিও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। আর তাই অনলাইনে, সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমে সহজ লভ্য বাঙালীর ইতিহাস গড়া ভাষণটির খণ্ডিত অংশ। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংরক্ষণে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কিছুটা উদ্যোগী হলেও তা খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। : atn/nes
#বঙ্গবন্ধুর#মুজিব শতবর্ষ#বাংলাদেশ#বাঙালী
বিশ্ব মোড়লদের কূটকৌশল আর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ১৩৬ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। যার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাঙালীর স্থায়ী ভিত প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ঠিক আট দিনের মাথায় পুরো পৃথিবী, প্রথম শোনে বিশ্বমঞ্চে বাংলা ভাষায় শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ উচ্চারণ।
সে সময় জাতিসংঘে ৬টি ভাষায় বক্তৃতা দেয়ার রেওয়াজ ছিল। যার মধ্যে বাংলা না থাকলেও বঙ্গবন্ধু নিজের মায়ের ভাষাকেই তুলে ধরেছিলেন বিশ্ব সভায়। সদ্য সদস্য দেশের সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলা ভাষা ও রাষ্ট্রকে তুলে আনে অনন্য উচ্চতায়।
২৯তম সাধারণ অধিবেশনে দেয়া সেই এই ভাষণ ছিলো জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ও শেষ ভাষণ। কিন্তু সেই একটি ভাষণেই তিনি গেঁথে দিয়েছেন বাঙালী জাতি ও বিশ্বের শোষিত মানুষের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।
একই সঙ্গে ভাষণটি ছিলো সারা বিশ্বের অধিকার হারা মানুষের উপর অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে পৃথিবী গড়ার প্রত্যয় ছিলো সেই ভাষণে। শুধু তাই নয়, আজকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বজুড়ে হাহাকার, অথচ ১৯৭৪ সালেই পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তবে ৭৫ পরবর্তী অন্ধকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী এই ভাষটিও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। আর তাই অনলাইনে, সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমে সহজ লভ্য বাঙালীর ইতিহাস গড়া ভাষণটির খণ্ডিত অংশ। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংরক্ষণে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কিছুটা উদ্যোগী হলেও তা খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। : atn/nes
#বঙ্গবন্ধুর#মুজিব শতবর্ষ#বাংলাদেশ#বাঙালী