তালেবান সরকারের বিধি-নিষেধের কারণে আফগানিস্তানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওপরে কোনো মেয়ে শিশু স্কুলে যাতে পারে না। মেয়েরা সুযোগ পাচ্ছে না কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ারও। এমন অবস্থায় দেশটিতে একদিকে যেমন চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে নারী শিক্ষার ভবিষ্যৎ, অন্যদিকে সমাজে বেড়ে যাচ্ছে বাল্যবিবাহ।
জাহরার মতো এমনই শত শত আফগান কিশোরী অপেক্ষায়, বই-খাতা হাতে আবারও শ্রেণীকক্ষে ফেরার আশায়। দিন-সপ্তাহ-মাস চলে যায়, কিন্তু শ্রেণীকক্ষে আর ফেরা হয় না। বরং দিন দিনই নারী শিক্ষার বিষয়ে অবস্থান কঠোর করছে তালেবান প্রশাসন। আফগান কিশোরী-তরুণীদের স্বপ্ন-স্বাদ কেবলই চার দেয়ালের মধ্যে, ডুকরে কেঁদে মরে।
আফগানিস্তানে ২০২১ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। এরপর ধারাবাহিকভাবে নারীদের শিক্ষা ও কাজের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে তারা।
দেশটিতে ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে করে আফগানিস্তান হয়ে উঠেছে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে নারীশিক্ষার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তালেবান যখন নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ২০ বছর বয়সী কাপিসা। মেয়েদের লেখাপড়ায় নিষেধাজ্ঞার প্রায় এক বছর পর, কাপিসা মনে করছেন, এই পদক্ষেপের ফলে দেশের ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
নারী অধিকার কর্মী ও বিশ্লেষক মিনা মমতাজ বলেন, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে পরিবারগুলোতে বাড়ছে বাল্যবিবাহ বা জোরপূর্বক বিয়ে। আফগানিস্তানে মেয়েদের পড়াশুনার সুযোগ তো নেই-ই, বাইরে গিয়ে কাজ করা কিংবা পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত তারা ।
দেশটিতে শিশু-কিশোরীরা বেড়ে উঠছে শিক্ষার আলো বঞ্চিত অন্ধকার ঘরের কোনায়। যাদের এখন স্কুল-কলেজে যাওয়ার বয়েস। চরম অনিশ্চয়তা আর হতাশার মধ্য দিয়ে কেবলই দিন পার করে চলছে তারা। atn/new
জাহরার মতো এমনই শত শত আফগান কিশোরী অপেক্ষায়, বই-খাতা হাতে আবারও শ্রেণীকক্ষে ফেরার আশায়। দিন-সপ্তাহ-মাস চলে যায়, কিন্তু শ্রেণীকক্ষে আর ফেরা হয় না। বরং দিন দিনই নারী শিক্ষার বিষয়ে অবস্থান কঠোর করছে তালেবান প্রশাসন। আফগান কিশোরী-তরুণীদের স্বপ্ন-স্বাদ কেবলই চার দেয়ালের মধ্যে, ডুকরে কেঁদে মরে।
আফগানিস্তানে ২০২১ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। এরপর ধারাবাহিকভাবে নারীদের শিক্ষা ও কাজের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে তারা।
দেশটিতে ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এতে করে আফগানিস্তান হয়ে উঠেছে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে নারীশিক্ষার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তালেবান যখন নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ২০ বছর বয়সী কাপিসা। মেয়েদের লেখাপড়ায় নিষেধাজ্ঞার প্রায় এক বছর পর, কাপিসা মনে করছেন, এই পদক্ষেপের ফলে দেশের ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
নারী অধিকার কর্মী ও বিশ্লেষক মিনা মমতাজ বলেন, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে পরিবারগুলোতে বাড়ছে বাল্যবিবাহ বা জোরপূর্বক বিয়ে। আফগানিস্তানে মেয়েদের পড়াশুনার সুযোগ তো নেই-ই, বাইরে গিয়ে কাজ করা কিংবা পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত তারা ।
দেশটিতে শিশু-কিশোরীরা বেড়ে উঠছে শিক্ষার আলো বঞ্চিত অন্ধকার ঘরের কোনায়। যাদের এখন স্কুল-কলেজে যাওয়ার বয়েস। চরম অনিশ্চয়তা আর হতাশার মধ্য দিয়ে কেবলই দিন পার করে চলছে তারা। atn/new