উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে পরিকল্পনার সমন্বয় না থাকায় রাজধানীতে জলজট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদেরা। দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, উন্মুক্ত জলাশয় ধ্বংস করে ভবন নির্মাণসহ নগর পরিকল্পনার স্বাভাবিক বিষয়গুলো উপেক্ষা করাকে এর জন্য দুষছেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে যায় রাজধানীর জীবন। এই সময়ে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এতেই জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। ভারী বর্ষণে পানি ঢুকে পড়ে বাসা ও দোকানপাটে। রাত ১২টার পর বৃষ্টি কমলেও শুক্রবারও অনেক এলাকাই ছিল পানির নিচে।
ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি, হতে পারে আজওঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি, হতে পারে আজও শুক্রবার সকালে রাজধানীর মার্কেট, আবাসিক এলাকা, বিদ্যালয়, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক বা হাসপাতাল, যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানিই দেখা যায়। হঠাৎ করেই যেন সবকিছু পরিণত হয় নদীতে। বিডিআর গেট, আজিমপুর, নিউমার্কেট, কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন এলাকার চিত্র ছিল এমনই। এতে জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা।
দুপুরে নিউমার্কেটে পানি জমে থাকায় অলিখিতভাবে বন্ধ ছিল বেচাকেনা। কোনো রকমে দোকানে পৌঁছালেও দোকান পরিষ্কারেই ব্যস্ত ছিলেন ব্যবসায়ীরা।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে পরিকল্পনার সমন্বয় না থাকায় বারবার সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
মিরপুরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বৃষ্টির পানিতে, একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪মিরপুরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বৃষ্টির পানিতে, একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪
গবেষণা সংস্থা আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, 'সবুজ এলাকা ধ্বংস করা, পুকুর ধ্বংস করা এগুলোর পরিণাম হলো, যে কোনো বৃষ্টিপাত হলেই আমাদের ভুগতেই হবে। এটা আসলে আমাদের নিজেদের তৈরি করা পরিস্থিতির পরিণতি আমরা ভোগ করছি।'
ঢাকার খালগুলো পুনরুদ্ধার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে সমাধান মিলতে পারে বলে মন্তব্য এই নগর পরিকল্পনাবিদের। অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ বলেন, 'ড্রেনের সাথে বড় খালগুলোর সংযোগ তৈরি করতে হবে। আমাদের এখানে যে খালগুলো আছে তার অনেকগুলোই মরা। তাদের মধ্যে আন্ত:সংযোগ নাই যাতে করে পানিটা শেষ পর্যন্ত নদীতে যেতে পারে। এই সংযোগগুলো যদি আমরা প্রতিস্থাপিত করতে পারি তাহলেই একটা লেভেলে ড্রেনেজের পারফরমেন্স বাড়ানো সম্ভব।'
ভোগান্তি অবসানে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ চান রাজধানীবাসী। indipen/t
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে যায় রাজধানীর জীবন। এই সময়ে ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এতেই জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। ভারী বর্ষণে পানি ঢুকে পড়ে বাসা ও দোকানপাটে। রাত ১২টার পর বৃষ্টি কমলেও শুক্রবারও অনেক এলাকাই ছিল পানির নিচে।
ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি, হতে পারে আজওঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি, হতে পারে আজও শুক্রবার সকালে রাজধানীর মার্কেট, আবাসিক এলাকা, বিদ্যালয়, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক বা হাসপাতাল, যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানিই দেখা যায়। হঠাৎ করেই যেন সবকিছু পরিণত হয় নদীতে। বিডিআর গেট, আজিমপুর, নিউমার্কেট, কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন এলাকার চিত্র ছিল এমনই। এতে জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা।
দুপুরে নিউমার্কেটে পানি জমে থাকায় অলিখিতভাবে বন্ধ ছিল বেচাকেনা। কোনো রকমে দোকানে পৌঁছালেও দোকান পরিষ্কারেই ব্যস্ত ছিলেন ব্যবসায়ীরা।
নগর পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে পরিকল্পনার সমন্বয় না থাকায় বারবার সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
মিরপুরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বৃষ্টির পানিতে, একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪মিরপুরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বৃষ্টির পানিতে, একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪
গবেষণা সংস্থা আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, 'সবুজ এলাকা ধ্বংস করা, পুকুর ধ্বংস করা এগুলোর পরিণাম হলো, যে কোনো বৃষ্টিপাত হলেই আমাদের ভুগতেই হবে। এটা আসলে আমাদের নিজেদের তৈরি করা পরিস্থিতির পরিণতি আমরা ভোগ করছি।'
ঢাকার খালগুলো পুনরুদ্ধার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে সমাধান মিলতে পারে বলে মন্তব্য এই নগর পরিকল্পনাবিদের। অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ বলেন, 'ড্রেনের সাথে বড় খালগুলোর সংযোগ তৈরি করতে হবে। আমাদের এখানে যে খালগুলো আছে তার অনেকগুলোই মরা। তাদের মধ্যে আন্ত:সংযোগ নাই যাতে করে পানিটা শেষ পর্যন্ত নদীতে যেতে পারে। এই সংযোগগুলো যদি আমরা প্রতিস্থাপিত করতে পারি তাহলেই একটা লেভেলে ড্রেনেজের পারফরমেন্স বাড়ানো সম্ভব।'
ভোগান্তি অবসানে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ চান রাজধানীবাসী। indipen/t