ঘুসের রেট নির্ধারণ করে দেওয়া পিরোজপুরের নাজিপুর উপজেলার সেই এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রজ্ঞাপনে সই করেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঘুষ নির্ধারণের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্ত থাকা সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাশ জানিয়েছেন অভিযুক্ত এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি জানান, এসিল্যান্ড নাজিরপুরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সোমবার এ ঘটনা তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাজিপুরের এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের নামজারিতে ঘুষের টাকা নেয়ার নির্দেশনামূলক বক্তব্য ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে মো. মাসুদুর রহমানকে সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা যে পার কেসে ডিলিংস করেন তা এনশিওর করার কোনো ওয়ে আছে?’ খোলামেলা কথা বলার জন্য এসিল্যান্ড তহসিলদারদের বলেন, ‘আপনাদের মতামত শুনি যে আপনারা কি চাচ্ছেন? এ বিষয়ে আমার সঙ্গে শাখারিকাঠী ইউনিয়ন তহসিলদার মো. শাখাওয়াত সাহেবের সব বিষয়ে কথা হয়েছে।’
ছড়িয়ে পড়ে ওই অডিওতে এসিল্যান্ডকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘নামজারিতে ঘুষ কত দিতে হবে। তবে জমির নামজারি করতে সরকার নির্ধারিত ফি এক হাজার ১৭০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে দিনের পর দিন ঘুরলেও মিলবে না সেবা।’
সরকার নির্ধারিত ফি’র প্রায় পাঁচগুণ টাকা ঘুষ হিসেবে নেয়ার হার নির্ধারণ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের জমির নামজারিতে ৬ হাজার টাকা করে নেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন, এমনটাই ভাইরাল অডিওতে শোনা গেছে।
নাজিরপুরের এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে ঢাকায় আছি। অফিসের বিভিন্ন কাজের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। টাকা লেনদেনের বিষয়ে কোনো কথা আমার সঙ্গে কারো হয়নি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঘুষ নির্ধারণের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্ত থাকা সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাশ জানিয়েছেন অভিযুক্ত এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি জানান, এসিল্যান্ড নাজিরপুরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সোমবার এ ঘটনা তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাজিপুরের এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের নামজারিতে ঘুষের টাকা নেয়ার নির্দেশনামূলক বক্তব্য ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে মো. মাসুদুর রহমানকে সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা যে পার কেসে ডিলিংস করেন তা এনশিওর করার কোনো ওয়ে আছে?’ খোলামেলা কথা বলার জন্য এসিল্যান্ড তহসিলদারদের বলেন, ‘আপনাদের মতামত শুনি যে আপনারা কি চাচ্ছেন? এ বিষয়ে আমার সঙ্গে শাখারিকাঠী ইউনিয়ন তহসিলদার মো. শাখাওয়াত সাহেবের সব বিষয়ে কথা হয়েছে।’
ছড়িয়ে পড়ে ওই অডিওতে এসিল্যান্ডকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘নামজারিতে ঘুষ কত দিতে হবে। তবে জমির নামজারি করতে সরকার নির্ধারিত ফি এক হাজার ১৭০ টাকা। অতিরিক্ত টাকা না দিলে দিনের পর দিন ঘুরলেও মিলবে না সেবা।’
সরকার নির্ধারিত ফি’র প্রায় পাঁচগুণ টাকা ঘুষ হিসেবে নেয়ার হার নির্ধারণ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পর্যায়ের ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের জমির নামজারিতে ৬ হাজার টাকা করে নেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন, এমনটাই ভাইরাল অডিওতে শোনা গেছে।
নাজিরপুরের এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমান বলেন, আমি ট্রেনিংয়ে ঢাকায় আছি। অফিসের বিভিন্ন কাজের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। টাকা লেনদেনের বিষয়ে কোনো কথা আমার সঙ্গে কারো হয়নি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।