পার্বত্য জেলাগুলো একসময় পাহাড়ে ছিল ঢেকে। কিন্তু অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় পাহাড় শূন্য হয়ে পড়ছে পার্বত্যাঞ্চল। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে ভূমিধসের আশঙ্কা অন্যদিক হুমকিতে জীববৈচিত্র। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, জরিমানা চললেও প্রশাসনের কাছে কি পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই।
বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় শুষ্ক মৌসুম এলেই চলে পাহাড় কাটার মহোৎসব। বসতবাড়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, পুকুর-জলাশয় ভরাট, বাঁধ নির্মাণ, ইটভাটা এবং রাস্তা নির্মাণের নামে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানায় প্রভাবশালীরা এসব পাহাড় কাটেন।
গেল এক বছরে বান্দরবান জেলায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২৮টি এনফোর্সমেন্ট মামলা, ১১টি নিয়মিত মামলা, ৭০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তাদের তথ্য মতে, একবছরে এ জেলায় পাহাড় কাটা হয়েছে প্রায় ২ একরের মত।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "পাহাড় কাটার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন অজুহাতে পাহাড় কাটা হচ্ছে, এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সিন্ডিকেট।"
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, "আমাদের উপস্থিতিতে যে ঘটনাটি ঘটে সেটির বিচার করতে পারি আমরা। কিন্তু তখন যদি কাউকে পাওয়া না যায় সেটি পরিবেশের মাধ্যমে মামলা দিয়ে থাকি।"
খাগড়াছড়িতে যত্রতত্র পাহাড় কাটায় উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। নিচে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। সবুজবাগ, কুমিল্লাটিলা, বিসিক শিল্পনগরী, রামগড় -দীঘিনালার উঁচু উঁচু পাহাড় কেটে সমতল করে তৈরি করা হচ্ছে বসতবাড়ি ।
প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে মোবাইল কোর্ট করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে বছরে কতগুলো পাহাড় কাটা হয় এমন কোন তথ্য সংরক্ষিত নেই তাদের কাছেও।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ আন্দোলন সংগঠক অপু দত্ত বলেন, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িৎ কোনো পদক্ষেপ এখনও দেখিনি।"
খাগড়াছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, "নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে পাহাড় কাটার বিষয়টি কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।"
অন্যদিকে রাঙামাটি জেলার ৬ হাজার ১১৬ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে পাহাড়। কিন্তু জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাসস্থান নির্মাণ আর ইমারত তৈরি করতে প্রায়ই কাটা হচ্ছে পাহাড়।
সদর উপজেলা ও কাউখালীতে সবচেয়ে বেশি অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।রাঙামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমীন বলেন, "পাহাড় কাটা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার-ফেস্টুন এবং সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।
গেল এক বছরে এ জেলায় ২৮টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। একজনকে কারাদণ্ডসহ জরিমানা করা হয় প্রায় ৪৩ লাখ টাকা।
ekuse/t
বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় শুষ্ক মৌসুম এলেই চলে পাহাড় কাটার মহোৎসব। বসতবাড়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, পুকুর-জলাশয় ভরাট, বাঁধ নির্মাণ, ইটভাটা এবং রাস্তা নির্মাণের নামে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানায় প্রভাবশালীরা এসব পাহাড় কাটেন।
গেল এক বছরে বান্দরবান জেলায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২৮টি এনফোর্সমেন্ট মামলা, ১১টি নিয়মিত মামলা, ৭০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তাদের তথ্য মতে, একবছরে এ জেলায় পাহাড় কাটা হয়েছে প্রায় ২ একরের মত।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "পাহাড় কাটার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন অজুহাতে পাহাড় কাটা হচ্ছে, এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সিন্ডিকেট।"
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, "আমাদের উপস্থিতিতে যে ঘটনাটি ঘটে সেটির বিচার করতে পারি আমরা। কিন্তু তখন যদি কাউকে পাওয়া না যায় সেটি পরিবেশের মাধ্যমে মামলা দিয়ে থাকি।"
খাগড়াছড়িতে যত্রতত্র পাহাড় কাটায় উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। নিচে নেমে যাচ্ছে পানির স্তর। সবুজবাগ, কুমিল্লাটিলা, বিসিক শিল্পনগরী, রামগড় -দীঘিনালার উঁচু উঁচু পাহাড় কেটে সমতল করে তৈরি করা হচ্ছে বসতবাড়ি ।
প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে মোবাইল কোর্ট করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে বছরে কতগুলো পাহাড় কাটা হয় এমন কোন তথ্য সংরক্ষিত নেই তাদের কাছেও।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ আন্দোলন সংগঠক অপু দত্ত বলেন, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে তড়িৎ কোনো পদক্ষেপ এখনও দেখিনি।"
খাগড়াছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, "নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে পাহাড় কাটার বিষয়টি কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো।"
অন্যদিকে রাঙামাটি জেলার ৬ হাজার ১১৬ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে পাহাড়। কিন্তু জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাসস্থান নির্মাণ আর ইমারত তৈরি করতে প্রায়ই কাটা হচ্ছে পাহাড়।
সদর উপজেলা ও কাউখালীতে সবচেয়ে বেশি অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।রাঙামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমীন বলেন, "পাহাড় কাটা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার-ফেস্টুন এবং সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে।
গেল এক বছরে এ জেলায় ২৮টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। একজনকে কারাদণ্ডসহ জরিমানা করা হয় প্রায় ৪৩ লাখ টাকা।
ekuse/t