আলমগীর হোসেন:
নগদ ডলারের চরম সংকট চলছে। ব্যাংক থেকে মানি এক্সচেঞ্জ কোথাও মিলছে না ডলার। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করতে যাওয়া যাত্রীদের পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকরা। এদিকে, একক দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর থেকে ডলারের লেনদেন কমেছে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতেও।
সম্প্রতি, রাজধানীর মতিঝিলে দেখা মেলে ইমরান আহমেদ নামের এক তরুণের। ভাইকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন, তাই ডলারের খোঁজে দিনের অর্ধবেলা পর্যন্ত মতিঝিলে ঘুরেছেন তিনি। একই দিন ব্যাংক থেকে মানি এক্সচেঞ্জ কোথাও ডলার পাননি কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। একই অবস্থা প্রবাসী শ্রমিক আজিরুল বাদশার। ছুটি শেষে সৌদি আরব যাবেন তিনি। ফ্লাইটের সময় হয়ে আসলেও ডলার কিনতে পারেননি। মনে কষ্ট নিয়েই মতিঝিল থেকে ফিরে যান এই প্রবাসী শ্রমিক।
এ নিয়ে মানি এক্সচেঞ্জের মালিকদের ভাষ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত দামে কেউ ডলার বিক্রি করছে না। লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে তাদের অফিস খোলা রাখা হচ্ছে।
শুধু কামরুল-বাদশা নন, তাদের মতো আরও অনেকেই ডলারের সন্ধানে ঘুরছেন রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে। কিন্তু কোথাও ডলার পাচ্ছেন না। ব্যাংক থেকে পাসপোর্ট এনড্রোস করলেও ডলার দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের।
এক ভুক্তভোগী বললেন, ব্যাংক থেকে এনড্রোস করে দিছে। কিন্তু তারা আমাকে কোনো ডলার দিতে পারেনি। তবে তারা আমার থেকে টাকা নিছে। কোনো রশিদ দেয়নি।
রাজধানীর আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি উত্তরা থেকে মতিঝিল এসেছি। চারদিন ঘুরেছি, কোথাও ডলার পাইনি। যার কাছে যাই, সেই বলে ডলার নেই।
মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে কেনাবেচা কমায় গ্রাহকের আনাগোনাও কম। যে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় ফাঁকা পড়ে থাকছে কাউনন্টার। ঢাকার মানি এক্সচেঞ্জের এক মালিক বলেছেন, আমরা বেশি দামে ডলার কিনছি না। আর সম্ভবও না বেশি দামে কেনা এবং বিক্রি করাও সম্ভব নয়। বলা যায়, ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, অভিযান শুরুর পর থেকে কোনো লোক এখন মানি একচেঞ্জে ঢুকতেছে না। আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পাসপোর্টের বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন না করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিষয়টি তদারকি করছে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনও। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দালালদের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিও তাদের।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেলাল উদ্দিন শিকদার বলেন, সংকট এটা কৃত্রিম হয়ে গেছে, রেটের কারণে। সে আগে বিক্রি করছে ১১৫ টাকায়, এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১১১ টাকায়। তাই অপেক্ষা করছে, আরও কয়েকদিন পরে বিক্রি করার। সেই ডলার তো মার্কেটেই আসবে। তখনই দাম একটু কমে যাবে।
যদিও নগদ ডলারের কোনো সংকট নেই দাবি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, মানি এক্সচেঞ্জে না পেলে ব্যাংক থেকে ডলার কেনার সুযোগ আছে। প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন এই ব্যাংক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নগদ ডলারের চরম সংকট চলছে। ব্যাংক থেকে মানি এক্সচেঞ্জ কোথাও মিলছে না ডলার। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করতে যাওয়া যাত্রীদের পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকরা। এদিকে, একক দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর থেকে ডলারের লেনদেন কমেছে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতেও।
সম্প্রতি, রাজধানীর মতিঝিলে দেখা মেলে ইমরান আহমেদ নামের এক তরুণের। ভাইকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন, তাই ডলারের খোঁজে দিনের অর্ধবেলা পর্যন্ত মতিঝিলে ঘুরেছেন তিনি। একই দিন ব্যাংক থেকে মানি এক্সচেঞ্জ কোথাও ডলার পাননি কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। একই অবস্থা প্রবাসী শ্রমিক আজিরুল বাদশার। ছুটি শেষে সৌদি আরব যাবেন তিনি। ফ্লাইটের সময় হয়ে আসলেও ডলার কিনতে পারেননি। মনে কষ্ট নিয়েই মতিঝিল থেকে ফিরে যান এই প্রবাসী শ্রমিক।
এ নিয়ে মানি এক্সচেঞ্জের মালিকদের ভাষ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত দামে কেউ ডলার বিক্রি করছে না। লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে তাদের অফিস খোলা রাখা হচ্ছে।
শুধু কামরুল-বাদশা নন, তাদের মতো আরও অনেকেই ডলারের সন্ধানে ঘুরছেন রাজধানীর বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে। কিন্তু কোথাও ডলার পাচ্ছেন না। ব্যাংক থেকে পাসপোর্ট এনড্রোস করলেও ডলার দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের।
এক ভুক্তভোগী বললেন, ব্যাংক থেকে এনড্রোস করে দিছে। কিন্তু তারা আমাকে কোনো ডলার দিতে পারেনি। তবে তারা আমার থেকে টাকা নিছে। কোনো রশিদ দেয়নি।
রাজধানীর আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি উত্তরা থেকে মতিঝিল এসেছি। চারদিন ঘুরেছি, কোথাও ডলার পাইনি। যার কাছে যাই, সেই বলে ডলার নেই।
মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে কেনাবেচা কমায় গ্রাহকের আনাগোনাও কম। যে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় ফাঁকা পড়ে থাকছে কাউনন্টার। ঢাকার মানি এক্সচেঞ্জের এক মালিক বলেছেন, আমরা বেশি দামে ডলার কিনছি না। আর সম্ভবও না বেশি দামে কেনা এবং বিক্রি করাও সম্ভব নয়। বলা যায়, ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, অভিযান শুরুর পর থেকে কোনো লোক এখন মানি একচেঞ্জে ঢুকতেছে না। আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পাসপোর্টের বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন না করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিষয়টি তদারকি করছে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনও। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দালালদের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিও তাদের।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেলাল উদ্দিন শিকদার বলেন, সংকট এটা কৃত্রিম হয়ে গেছে, রেটের কারণে। সে আগে বিক্রি করছে ১১৫ টাকায়, এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১১১ টাকায়। তাই অপেক্ষা করছে, আরও কয়েকদিন পরে বিক্রি করার। সেই ডলার তো মার্কেটেই আসবে। তখনই দাম একটু কমে যাবে।
যদিও নগদ ডলারের কোনো সংকট নেই দাবি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, মানি এক্সচেঞ্জে না পেলে ব্যাংক থেকে ডলার কেনার সুযোগ আছে। প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন এই ব্যাংক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।