আমাদের জীবনের প্রতিদিন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মাধ্যমে অতিবাহিত হয়। কখনও কি চিন্তা করেছেন, যদি সূর্য অস্ত না যায় তাহলে রাতে ঘুমাতে পারবেন কি না? সূর্য অস্ত যাবে না এরকম চিন্তাও তো কখনও আমাদের ধারনায় আসে নি। তবে এরকম পরিস্থিতির শিকার রয়েছে এমন বিশ্বে কিছু দেশ বিদ্যমান রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে এই নিয়মের শিকার ৫টি দেশের বর্ণনা এখানে দেয়া হল- ১. নরওয়ে: নরওয়ে'কে মধ্যরাতের সূর্যের দেশ বলা হয়। নরওয়ের অতি উচ্চতায় ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান হবার ফলে সেখানে দীর্ঘ ঋতু ধরে দিবালোকের মত রাতেও সূর্যের আলো দেখা যায়। এই দেশে মে থেকে জুনে একটানা ৭৬ দিন পর্যন্ত সূর্য কখনও অস্ত যায় না। তবে ২০ ঘণ্টা সূর্যের আলো অনেক বেশী থাকে। বাকি ৪ ঘণ্টা সূর্য কিছুটা নিমজ্জিত অবস্থায় থাকে, তবে সম্পূর্ণ অস্ত যায় না। In Norway, আর্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর থেকে রাতে দিগন্ত রেখায় সূর্যের দেখা মেলে। তাছাড়া সেখানে বছরের মে থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত কখনোই সূর্য অস্ত যায় না। অর্থাৎ টানা এই আড়াই মাস সময় ধরে নরওয়েতে অন্ধকার বলে কিছু থাকেনা ২. ফিনল্যান্ড: এদেশের বেশীরভাগ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে একটানা ৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যাস্ত হয় না। আবার শীতকালে এদেশের নাগরিক সূর্যালোক থেকে বঞ্চিত থাকে। আর্কটিক বৃত্তের উপর মূলত এই মধ্যরাতের সূর্য দেখা যায়। এখানে যখন সূর্যোদয় হয়, তখন সূর্য আর অস্ত যেতে চায় না আবার যখন সূর্যাস্ত হয় তখন সূর্যোদয় হতে চায় না। ৩. সুইডেন: মে মাস থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত এখানে প্রায় মধ্যরাতে সূর্যাস্ত হয় আবার সকাল ৪ টার দিকে সূর্যোদয় হয়ে যায়। এখানে, ছয় মাস সূর্যোদয় এর সময় বেশী আবার বাকি ছয় মাস সূর্যাস্তের সময় বেশী। ৪. আলাস্কা: মে এর শেষ থেকে জুলাই এর শেষ পর্যন্ত এখানে সূর্যাস্ত হয় না। আর্কটিক অক্ষের দক্ষিণে আলাস্কা শহর অবস্থিত। এটি আদর্শ সময় হতে ৫১ মিনিট পেছনে চলে। ৫. আইসল্যান্ড: আইসল্যান্ডে কখনও সূর্য সম্পূর্ণ অস্ত যায় না। এখানে সারারাত দিগন্ত জুড়ে অনুভূমিকভাবে সূর্য পরিভ্রমণ করে। ইউরোপের এই বিশাল আইসল্যান্ড মে থেকে জুলাই পর্যন্ত অন্ধকার দেখতে পায় না। গ্রীষ্মের সময় এখানে মধ্যরাতে সূর্য অস্ত যায় এবং ভোঁর ৩টায় আবার সূর্যোদয় হয়।