শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মাওয়া-ভাঙ্গা দ্রুতগতির পরীক্ষামূলক এ ট্রেনটি পর্যায়ক্রমে গতি বাড়িয়ে চলাচল করে চার দফা। পাঁচটি বগি নিয়ে ট্রেনটি প্রথমে ভাঙ্গা থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে পদ্মা সেতু হয়ে ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মাওয়া পৌঁছায় ৫১ মিনিটে। ফিরতে গিয়ে সেখান থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে ভাঙ্গা পৌঁছেছে ৪১ মিনিটে। পরে আবার ভাঙ্গা থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি মাওয়া পৌঁছায় ৩৪ মিনিটে। সবশেষ চতুর্থ দফায় মাওয়া থেকে ১১টা ১৭ মিনিটে ১২০ কিলোমিটার গতিতে আবার ভাঙ্গা পৌঁছায় ১১টা ৪৭ মিনিটে। এতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, রাজাধানী থেকে দ্রুতগতির এ ট্রেনে এক ঘণ্টারও কম সময়ে ভাঙ্গা পৌঁছানো সম্ভব। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আলী লেবু বলেন, ‘আমরা ট্র্যাকের সক্ষমতা পরীক্ষা করেছি এবং সফল হয়েছি। আমাদের এ ট্র্যাক ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী।’ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘ইতিহাস সৃষ্টি করে এ প্রথমবারের মতো দেশে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালিয়েছি আমরা। নতুন এক গতির জগতে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।’ আগামীকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মালবাহী ট্রেনের গতি পরীক্ষা করার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেলপথ দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।som/t