শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনার পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এডিসি হারুনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে (পিটিসি) বদলি করা হতে পারে। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুনের দায় খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে— রাষ্ট্রপতির এপিএস ও ছাত্রলীগ নেতারাই প্রথমে এডিসি হারুনকে মারধর করেছিলেন। এপিএস মামুনের দায় বের করতে যেখান থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়, সেই বারডেম হাসপাতালে কী ঘটেছিল, সেটি তদন্ত করে বের করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ। তিনি বলেন, এপিএস মামুন এবং ছাত্রলীগ নেতারাই বারডেম হাসপাতালে আগে এডিসি হারুনকে মারধর করেছেন। একই ধরনের তথ্য তুলে ধরে এডিসি হারুনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন এপিএসের স্ত্রী পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিনও। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত সেই নারী এডিসি সানজিদার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সর্বশেষ হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল গোপনে নজরদারি করছিলেন। সব বিষয় সামনে রেখেই তদন্ত হচ্ছে। এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈমকে মঙ্গলবার দুপুরে দেখতে যান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এ সময় ডিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমকে জানান, শাহবাগ থানার ঘটনায় ছাত্রলীগের একাধিক নেতা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শেষ হওয়ার আগেই দুজন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মোস্তফাকেও থানা থেকে সরানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়সহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেব। আমরা আপাতদৃষ্টিতে দেখছি, একজন ছাত্রকে থানার ভেতরে মারধর করা বেআইনি। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ওইটুকু অ্যাকশন নিয়েছি। এর মধ্যে যদি তদন্তে আরও অন্য কোনো বিষয় আসে সেসব বিষয় দেখা হবে।sutro -ju-or