কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ মাধ্যমে সকল প্রকার তথ্য সংগ্রহ, একত্রিকরন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবস্থাপনা এবং বিতরণের জন্য ব্যবহৃত সকল প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিকে তথ্যপ্রযুক্তি বলা হয়। কম্পিউটিং, মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি তথ্যপ্রযুক্তির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বিষয়গুলোর মধ্যে পরে।
ইতিহাসের পাতায় তথ্য প্রযুক্তি
ইতিহাসে তথ্য প্রযুক্তির অভাববোধ প্রথম অনুভূত হয় বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকেই বিশ্বের আন্তর্জাতিক আর্থসামাজিক চেহারা দ্রুত পাল্টাতে শুরু করে।
নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নিজের দেশের অবস্থান পরিপক্ক করার উদ্দেশ্যে বিশ্বজুড়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ঢল নেমে যায়। এরপর বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিশ্বজুড়ে আরো একবার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শুরু হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেই সবার প্রথম তথ্য প্রযুক্তির স্বল্প পরিমান ব্যবহার হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে পৃথিবীর চিত্র আরো দ্রুত পাল্টে যেতে শুরু করে ।
এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও। এরপর ৭০ দশকে পৃথিবীতে ইন্টারনেট এর আগমন ঘটলে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে , সেই সময় থেকে অতি দ্রুত পৃথিবীতে তথ্য প্রযুক্তির রূপ রেখা পরিবর্তন হতে থাকে।