জ্বালানি তেল আমদানি, পরিশোধন, মজুদ, বিতরণ ও বিপণনের একক ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তা বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করছে সরকার। একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করতেই এ উদ্যোগ বলে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তবে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেলের ব্যবসা এ খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়াবে।
পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, ফার্নেস ও জেট ফুয়েল মিলিয়ে বছরে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি প্রয়োজন হয়। এর শতকরা ৯০ শতাংশই আমদানি করা হয়। এই তেল আমদানি, পরিশোধন,মজুদ, সঞ্চালন ও বিপণন পুরো প্রক্রিয়াই পরিচালনা করে আসছিল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে তাল মেলাতে নতুন একটি রিফাইনারি করার প্রস্তুতিও চলছে। বাড়ানো হয়েছে মজুদ সক্ষমতাও।
এমন অবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তেল আমদানির একটি নীতিমালা করছে। খসড়া নীতিমালায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি,পরিশোধন ও বিক্রয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের। প্রথম পাঁচ বছরে এই তেলের অর্ধেক কিনে নেবে বিপিসি। এছাড়া প্রথম তিন বছর ৪০ শতাংশ এবং পরের দুই বছর ৫০ শতাংশ তেল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বেসরকারি উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত তেল সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে পেট্রল পাম্পও স্থাপন করতে পারবেন। এরই মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবসার অনুমোদন চেয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরির জন্যই এ উদ্যোগ।
তিনি বলেন, ওরাও বিপণন করবে, বিপিসিও করবে। ওরা পদ্মা, মেঘনা, যমুনাকে দেবে বিপিসির মতোই। ইচ্ছে করলে ওরা বাইরে পেট্রোল পাম্প খুলতে পারে। ভারত ও অন্যান্য দেশের মতোই এমন একটা নীতিমালা করতে যাচ্ছে সরকার।
তবে সরকারের এমন উদ্যোগকে ভোক্তা স্বার্থ পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম।
তিনি বলেন, বিপিসির একক ক্ষমতায় তাও জ্বালানি খাতে মূল্য সরকারের একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিলো। এখন লাগামহীন মুনাফা ও লুণ্ঠনমূলক ব্যয় এ খাতে যুক্ত হয়ে জ্বালানির মূল্য মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ খাতকে স্রেফ জনসাধারণের লুণ্ঠনের ক্ষেত্র হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে যেকোনো তিন বছরে প্রতিবছর টার্নওভার কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকার হতে হবে।
c71
তবে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেলের ব্যবসা এ খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়াবে।
পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, ফার্নেস ও জেট ফুয়েল মিলিয়ে বছরে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি প্রয়োজন হয়। এর শতকরা ৯০ শতাংশই আমদানি করা হয়। এই তেল আমদানি, পরিশোধন,মজুদ, সঞ্চালন ও বিপণন পুরো প্রক্রিয়াই পরিচালনা করে আসছিল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে তাল মেলাতে নতুন একটি রিফাইনারি করার প্রস্তুতিও চলছে। বাড়ানো হয়েছে মজুদ সক্ষমতাও।
এমন অবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তেল আমদানির একটি নীতিমালা করছে। খসড়া নীতিমালায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি,পরিশোধন ও বিক্রয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের। প্রথম পাঁচ বছরে এই তেলের অর্ধেক কিনে নেবে বিপিসি। এছাড়া প্রথম তিন বছর ৪০ শতাংশ এবং পরের দুই বছর ৫০ শতাংশ তেল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
বেসরকারি উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত তেল সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে পেট্রল পাম্পও স্থাপন করতে পারবেন। এরই মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবসার অনুমোদন চেয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরির জন্যই এ উদ্যোগ।
তিনি বলেন, ওরাও বিপণন করবে, বিপিসিও করবে। ওরা পদ্মা, মেঘনা, যমুনাকে দেবে বিপিসির মতোই। ইচ্ছে করলে ওরা বাইরে পেট্রোল পাম্প খুলতে পারে। ভারত ও অন্যান্য দেশের মতোই এমন একটা নীতিমালা করতে যাচ্ছে সরকার।
তবে সরকারের এমন উদ্যোগকে ভোক্তা স্বার্থ পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আলম।
তিনি বলেন, বিপিসির একক ক্ষমতায় তাও জ্বালানি খাতে মূল্য সরকারের একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিলো। এখন লাগামহীন মুনাফা ও লুণ্ঠনমূলক ব্যয় এ খাতে যুক্ত হয়ে জ্বালানির মূল্য মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ খাতকে স্রেফ জনসাধারণের লুণ্ঠনের ক্ষেত্র হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে যেকোনো তিন বছরে প্রতিবছর টার্নওভার কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকার হতে হবে।
c71