আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মতিউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। শত প্রলোভনের মুখে এবং বারবার কারাবরণ করা সত্ত্বেও সারাজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থেকে তিনি তার সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিন দশকের বেশি সময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বদানকারী এই নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ও সফল সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। তার মৃত্যুতে দলের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো এবং আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।
প্রধানমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ময়মনসিংহের নেক্সাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দল, বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নগরীর ধোপাখলা এলাকার নেক্সাস হাসপাতালের সামনে জড়ো হতে থাকেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের জমায়েতও বড় হতে থাকে। তাদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে।
সাবেক মন্ত্রীর ছেলে ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত (২৮ আগস্ট) রাত ৩টা ৫৫মিনিটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জানান, ‘আব্বার নামাজে জানাজা অদ্য বাদ আসর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান দীর্ঘ সময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪-১৮ সালে টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে তিনি ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর একুশে পদক পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা। ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানের বয়স হয়েছিল প্রায় ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
প্রবীণ এই সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে পথ চলতে অভ্যস্ত এ প্রবীণ রাজনীতিক আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সনে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এ সময় তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেন। ১৯৫৪ সনে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। এরপর তিনি নকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন। নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৫৮ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর ১৯৬৪ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বি.এস.সি. শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সালে এম.এস.সি. সম্পন্ন করেন। এম.এস.সি. পাশের পর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। পরে রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ সময় নগরীর আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল কলেজের (মিন্টু কলেজ) অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
c24
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মতিউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। শত প্রলোভনের মুখে এবং বারবার কারাবরণ করা সত্ত্বেও সারাজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থেকে তিনি তার সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিন দশকের বেশি সময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বদানকারী এই নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ও সফল সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। তার মৃত্যুতে দলের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো এবং আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।
প্রধানমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ময়মনসিংহের নেক্সাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দল, বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নগরীর ধোপাখলা এলাকার নেক্সাস হাসপাতালের সামনে জড়ো হতে থাকেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের জমায়েতও বড় হতে থাকে। তাদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে।
সাবেক মন্ত্রীর ছেলে ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত (২৮ আগস্ট) রাত ৩টা ৫৫মিনিটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জানান, ‘আব্বার নামাজে জানাজা অদ্য বাদ আসর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান দীর্ঘ সময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪-১৮ সালে টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে তিনি ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর একুশে পদক পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা। ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমানের বয়স হয়েছিল প্রায় ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
প্রবীণ এই সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে পথ চলতে অভ্যস্ত এ প্রবীণ রাজনীতিক আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সনে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এ সময় তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেন। ১৯৫৪ সনে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। এরপর তিনি নকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন। নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৫৮ সালে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর ১৯৬৪ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বি.এস.সি. শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সালে এম.এস.সি. সম্পন্ন করেন। এম.এস.সি. পাশের পর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। পরে রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ সময় নগরীর আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল কলেজের (মিন্টু কলেজ) অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
c24