চলতি বছর ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য সরকারের ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর এ পর্যন্ত হাসপাতালে সেবা নেয়া ডেঙ্গু রোগীর মোট ৭০ শতাংশ রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানেই এ তথ্য দেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার করোনার মতো ডেঙ্গু চিকিৎসাও বিনামূল্যে দিচ্ছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় দুই ধরনের খরচ হয়। এর মধ্যে রয়েছে যাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা বা প্লাটিলেট নিতে হচ্ছে তাদের চিকিৎসা ব্যয় এবং যাদের এসব লাগছে না তাদের খরচ ভিন্ন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারিভাবে ব্যয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। রোগী প্রতি সরকারের গড়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এ সময় জাহিদ মালেক দেশজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের।
ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ডেঙ্গু রোগীদের অর্ধেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের, বাকিগুলো সারাদেশের। এটি যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে অর্ধেক রোগী কমে আসবে।
আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কম হলেও মৃত্যুতে নারী হার বেশি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মোট ভর্তি রোগীর ৬০-৬৫ শতাংশ হচ্ছে পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ নারী। কিন্তু মোট মৃতের মধ্যে নারীদের হার ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে নারীরা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন। তারা অসুস্থ হলে পরিবারসহ তাদের কাছের মানুষদের নজর রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে চিকিৎসা দেয়া। আমরা সেটি করে যাচ্ছি। রোগীদের স্যালাইনসহ সেবার যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। সিটি করপোরেশনসহ সবার সঙ্গে আমরা তথ্য শেয়ার করছি। এডিস প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা করছি। পৃথিবীর অন্যসব দেশ থেকে তথ্য নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কারও একার পক্ষে এই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। একে অপরকে দোষারোপ না করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আর আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, আমরা মানুষের জীবন নিয়ে ডিল করছি।
c24
রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানেই এ তথ্য দেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার করোনার মতো ডেঙ্গু চিকিৎসাও বিনামূল্যে দিচ্ছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় দুই ধরনের খরচ হয়। এর মধ্যে রয়েছে যাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা বা প্লাটিলেট নিতে হচ্ছে তাদের চিকিৎসা ব্যয় এবং যাদের এসব লাগছে না তাদের খরচ ভিন্ন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারিভাবে ব্যয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। রোগী প্রতি সরকারের গড়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এ সময় জাহিদ মালেক দেশজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের।
ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ডেঙ্গু রোগীদের অর্ধেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের, বাকিগুলো সারাদেশের। এটি যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে অর্ধেক রোগী কমে আসবে।
আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কম হলেও মৃত্যুতে নারী হার বেশি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মোট ভর্তি রোগীর ৬০-৬৫ শতাংশ হচ্ছে পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ নারী। কিন্তু মোট মৃতের মধ্যে নারীদের হার ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে নারীরা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন। তারা অসুস্থ হলে পরিবারসহ তাদের কাছের মানুষদের নজর রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে চিকিৎসা দেয়া। আমরা সেটি করে যাচ্ছি। রোগীদের স্যালাইনসহ সেবার যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। সিটি করপোরেশনসহ সবার সঙ্গে আমরা তথ্য শেয়ার করছি। এডিস প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা করছি। পৃথিবীর অন্যসব দেশ থেকে তথ্য নেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু কারও একার পক্ষে এই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। একে অপরকে দোষারোপ না করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আর আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, আমরা মানুষের জীবন নিয়ে ডিল করছি।
c24