মানুষের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। সারাদিন পরিশ্রম করার পর রাতে কয়েক ঘণ্টা প্রশান্তির ঘুম সবার প্রয়োজন। কারণ ঘুম ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চাঙ্গা রাখে ও পরের দিনে আপনাকে কাজের জন্য প্রস্তুত করে। সঠিক ঘুম, সুষম খাবার, শরীরচর্চা স্বাস্থ্য ভালো রাখার চাবিকাঠি। ঘুম অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু ঘুম সঠিকভাবে হওয়াটা জরুরি। আর এই ঘুমের অভ্যাস হয় একেকজনের একেকরকম। কেউ কাত হয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন, কেউ আবার চিৎ হয়ে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা উপুর হয়ে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করেন।
আপনি কতটা ঘুমাচ্ছেন, কীভাবে ঘুমাচ্ছেন এবং কেমন বিছানায় ঘুমাচ্ছেন সেটি অবশ্যই স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোনভাবে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অনেকভাবে আমরা ঘুমিয়ে থাকি। পাশ ফিরে ঘুমানো, উপুড় হয়ে ঘুমানো, একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো। চিৎ হয়ে ঘুমানো। তবে বেশিরভাগ মানুষই একদিকে পাশ ফিরে শুতে অভ্যস্ত। কেউ ডান দিকে কেউ আবার বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমান।
গবেষকরা বলেন, ডান দিকে ফিরে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
আরও পড়ুন
রাশমিকার সৌন্দর্যের সিক্রেট
আবার কোনো কোনো গবেষক বলেন, বাম দিকে ফিরে ঘুমালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটিই ঘুমানোর সঠিক পন্থা। বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমালে হজম ভালো হয়।
বামদিক বা ডানদিকে পাশ ফিরে ঘুমালে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পাশ ফিরে ঘুমালে নাক ডাকা, নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
আবার অনেকে উপুড় হয়ে বই পড়তে পড়তে বা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবে ঘুমোনোর ফলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের ওপর।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত যদি আপনি উপুড় হয়ে ঘুমান তাহলে আপনার মেরুদণ্ড, ফুসফুসের উপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও বেশ প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা তাই উপুড় হয়ে ঘুমানোর বদলে চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এটাই বরং বেশি উপকারী।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে আমাদের মেরুদণ্ড বা অন্ত্রে চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাসের ফলে আমাদের ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। যে কারণে বেশিরভাগ সময়েই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর কারণে দেখা দিতে পারে কোমরে সমস্যাও। আপনার যদি এভাবে ঘুমের অভ্যাস থাকে তবে খেয়াল করে দেখুন, মাঝেমাঝেই আপনি কোমার ব্যথায় ভুগছেন কি না। সেইসঙ্গে হতে পারে আরেকটি অদ্ভুত সমস্যা, সেটি হলো ত্বকের। উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে মুখের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এদিকেও নজর দিন।
বিশেষ সতর্কতা: তবে সতর্ক থাকার প্রয়োজনও রয়েছে। যাদের হৃদরোগ, গ্লুকোমা, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কারণে ঘুম ভঙ্গের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বাম কাত হয়ে ঘুমানো হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
আপনি কতটা ঘুমাচ্ছেন, কীভাবে ঘুমাচ্ছেন এবং কেমন বিছানায় ঘুমাচ্ছেন সেটি অবশ্যই স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোনভাবে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অনেকভাবে আমরা ঘুমিয়ে থাকি। পাশ ফিরে ঘুমানো, উপুড় হয়ে ঘুমানো, একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো। চিৎ হয়ে ঘুমানো। তবে বেশিরভাগ মানুষই একদিকে পাশ ফিরে শুতে অভ্যস্ত। কেউ ডান দিকে কেউ আবার বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমান।
গবেষকরা বলেন, ডান দিকে ফিরে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
আরও পড়ুন
রাশমিকার সৌন্দর্যের সিক্রেট
আবার কোনো কোনো গবেষক বলেন, বাম দিকে ফিরে ঘুমালে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটিই ঘুমানোর সঠিক পন্থা। বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমালে হজম ভালো হয়।
বামদিক বা ডানদিকে পাশ ফিরে ঘুমালে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পাশ ফিরে ঘুমালে নাক ডাকা, নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
আবার অনেকে উপুড় হয়ে বই পড়তে পড়তে বা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবে ঘুমোনোর ফলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের ওপর।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত যদি আপনি উপুড় হয়ে ঘুমান তাহলে আপনার মেরুদণ্ড, ফুসফুসের উপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও বেশ প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা তাই উপুড় হয়ে ঘুমানোর বদলে চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এটাই বরং বেশি উপকারী।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে আমাদের মেরুদণ্ড বা অন্ত্রে চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাসের ফলে আমাদের ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। যে কারণে বেশিরভাগ সময়েই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর কারণে দেখা দিতে পারে কোমরে সমস্যাও। আপনার যদি এভাবে ঘুমের অভ্যাস থাকে তবে খেয়াল করে দেখুন, মাঝেমাঝেই আপনি কোমার ব্যথায় ভুগছেন কি না। সেইসঙ্গে হতে পারে আরেকটি অদ্ভুত সমস্যা, সেটি হলো ত্বকের। উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে মুখের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এদিকেও নজর দিন।
বিশেষ সতর্কতা: তবে সতর্ক থাকার প্রয়োজনও রয়েছে। যাদের হৃদরোগ, গ্লুকোমা, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কারণে ঘুম ভঙ্গের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য বাম কাত হয়ে ঘুমানো হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।