কিছুলোক ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ কার্যক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দেশ নেই, ধর্ম নেই। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইসলাম ধর্মের সম্মান রক্ষার আহ্বান জানান।
সন্তান যাতে বিপথে না যায় সেজন্য তাদের প্রতি খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান কুসংস্কার, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ নির্মুলে সবার সহযোগিতা চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে অন্যান্য ধর্মের জনগণ আছে, তারাও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে। আওয়ামী লীগ সবসময় ইসলামের খেদমত ও উন্নয়নে কাজ করে। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করে।
কারবালার ঘটনার আরেকটি পুনরাবৃত্তি ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে ঘটেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা, আমার ভাইয়ের স্ত্রীদের ছাড়েনি। চার বছরের শিশুকেও ছাড়েনি। সবাইকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় বেঁকে যাওয়া রেললাইনের নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন (ভিডিও)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই রাতে আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে ছিলাম। স্বজনহারা আর্তনাদ আর ঘর বাড়ি ছাড়া ছয়টি বছর আমাদের কাটাতে হয়েছে। '৮১ সালে আমরা দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে আমি সেই চেনা মুখগুলো পাইনি। যারা আমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়েছিল। আমি পেয়েছিলাম বনানীতে সারি সারি কবর। পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষ। কাজেই সে মানুষগুলো আমার পরিবার, তারাই আমার আপনজন। তাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস পেয়েছি। যা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে, শক্তি যুগিয়েছে, সাহস যুগিয়েছে। বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনোদিন ভয় পাইনি। কেন যেন মনে হতো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার জন্য। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময় দেন, কিছু মানুষকে কিছু কাজ দেন, এই কাজটা আমি যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ করব, রাব্বুল আলামিন আমাকে রক্ষা করবেন। এ বিশ্বাস নিয়ে আমার পথ চলা।
এএ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দেশ নেই, ধর্ম নেই। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইসলাম ধর্মের সম্মান রক্ষার আহ্বান জানান।
সন্তান যাতে বিপথে না যায় সেজন্য তাদের প্রতি খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান কুসংস্কার, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ নির্মুলে সবার সহযোগিতা চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে অন্যান্য ধর্মের জনগণ আছে, তারাও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে। আওয়ামী লীগ সবসময় ইসলামের খেদমত ও উন্নয়নে কাজ করে। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করে।
কারবালার ঘটনার আরেকটি পুনরাবৃত্তি ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে ঘটেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারবালায় নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা, আমার ভাইয়ের স্ত্রীদের ছাড়েনি। চার বছরের শিশুকেও ছাড়েনি। সবাইকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় বেঁকে যাওয়া রেললাইনের নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন (ভিডিও)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই রাতে আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে ছিলাম। স্বজনহারা আর্তনাদ আর ঘর বাড়ি ছাড়া ছয়টি বছর আমাদের কাটাতে হয়েছে। '৮১ সালে আমরা দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে আমি সেই চেনা মুখগুলো পাইনি। যারা আমাকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়েছিল। আমি পেয়েছিলাম বনানীতে সারি সারি কবর। পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষ। কাজেই সে মানুষগুলো আমার পরিবার, তারাই আমার আপনজন। তাদের মাঝেই ফিরে পেয়েছি আমার বাবার ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস পেয়েছি। যা আমাকে প্রেরণা যুগিয়েছে, শক্তি যুগিয়েছে, সাহস যুগিয়েছে। বারবার মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। কিন্তু আমি কোনোদিন ভয় পাইনি। কেন যেন মনে হতো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার জন্য। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময় দেন, কিছু মানুষকে কিছু কাজ দেন, এই কাজটা আমি যতক্ষণ না পর্যন্ত শেষ করব, রাব্বুল আলামিন আমাকে রক্ষা করবেন। এ বিশ্বাস নিয়ে আমার পথ চলা।
এএ