জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ওরা বলেছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে মাত্র দুই দিনে প্রতিপক্ষ ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাবে। সেটা কি বাংলাদেশে হয়েছে? হয়নি। ওরা কাণ্ডজ্ঞানহীন ছিল, তবে এই জাতি কাণ্ডজ্ঞানহীন নয়। ওরা দেশকে ভালোবাসে না বলে পালিয়ে যায়। এই জাতি দেশকে ভালবাসে বলেই গণহত্যা করতে দেয়নি।
শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত ইসলাম আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরার সুশৃঙ্খল কর্মী সমাবেশ বিশাল জনসমুন্দ্রে পরিণত হয়। কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে জনসভা মাঠ দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও পাড়া মহাল্লা থেকে মিছিল নিয়ে জন সমাবেশের মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। শহরের প্রতিটি রাস্তা মানুষের ভিড়ে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমির মহাদ্দিস রবিউল বাসার প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের ইঙ্গিত করে বলেন, বাংলাদেশকে প্রাণ দিয়ে আমরা ভালোবাসতে চাই। এজন্য আমাদের কোন দাদা, মামা, খালু, ফুফির বাড়ি নেই। এটি আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের ঠিকানা। আমাদের উপর জুলুম করা হয়েছে, আমরা দেশ ছেড়ে কোথাও পালিয়ে যাইনি। দেশকে যারা ভালোবাসে তারা দেশ ছেড়ে পালায় না। আল্লাহকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই তিনি বাংলাদেশের মতো একটি সুন্দর দেশে আমাদের পাঠিয়েছেন। আগামীতে আমরা একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সেই বাংলাদেশে মানুষে মানুষে থাকবে না কোন ভেদাভেদ। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির আরও বলেন, বাংলাদেশের আকাশে এখন কালো শকুন ঘোরাফেরা করছে। এই শকুনের দিকে আমাদের তীর্যক দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন শকুনকে কোনভাবেই মাটিতে নামতে দেয়া যাবে না। কয়েক হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেন বাংলার মাটিতে স্বৈরাচার দাঁত বসাতে না পারে। আপনারা মাঝে মাঝে ফুসফাঁস টের পাচ্ছেন? আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি, আর ওরা আমাদের ধৈর্যের সুরসুরি দেয়। আমরা এমন একটি দেশ চাই যে দেশে মা-বোনেরা নিঃসংকোচে কর্মস্থলে সুরক্ষা পাবে, রাস্তাঘাটের সুরক্ষা পাবে, সর্বোপরি সর্বক্ষেত্রে সুরক্ষা পাবে। আমরা যে দেশ চাই, সে দেশে মসজিদ, মন্দির কোন কিছুই পাহারা দেয়া লাগবে না। সকল ধর্মাবলম্বীরা তাদের মত করে শান্তিতে তাদের ধর্ম পালন করবে।
এর আগে সকালে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি।
শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত ইসলাম আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরার সুশৃঙ্খল কর্মী সমাবেশ বিশাল জনসমুন্দ্রে পরিণত হয়। কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে জনসভা মাঠ দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও পাড়া মহাল্লা থেকে মিছিল নিয়ে জন সমাবেশের মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। শহরের প্রতিটি রাস্তা মানুষের ভিড়ে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমির মহাদ্দিস রবিউল বাসার প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের ইঙ্গিত করে বলেন, বাংলাদেশকে প্রাণ দিয়ে আমরা ভালোবাসতে চাই। এজন্য আমাদের কোন দাদা, মামা, খালু, ফুফির বাড়ি নেই। এটি আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের ঠিকানা। আমাদের উপর জুলুম করা হয়েছে, আমরা দেশ ছেড়ে কোথাও পালিয়ে যাইনি। দেশকে যারা ভালোবাসে তারা দেশ ছেড়ে পালায় না। আল্লাহকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই তিনি বাংলাদেশের মতো একটি সুন্দর দেশে আমাদের পাঠিয়েছেন। আগামীতে আমরা একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সেই বাংলাদেশে মানুষে মানুষে থাকবে না কোন ভেদাভেদ। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির আরও বলেন, বাংলাদেশের আকাশে এখন কালো শকুন ঘোরাফেরা করছে। এই শকুনের দিকে আমাদের তীর্যক দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন শকুনকে কোনভাবেই মাটিতে নামতে দেয়া যাবে না। কয়েক হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেন বাংলার মাটিতে স্বৈরাচার দাঁত বসাতে না পারে। আপনারা মাঝে মাঝে ফুসফাঁস টের পাচ্ছেন? আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি, আর ওরা আমাদের ধৈর্যের সুরসুরি দেয়। আমরা এমন একটি দেশ চাই যে দেশে মা-বোনেরা নিঃসংকোচে কর্মস্থলে সুরক্ষা পাবে, রাস্তাঘাটের সুরক্ষা পাবে, সর্বোপরি সর্বক্ষেত্রে সুরক্ষা পাবে। আমরা যে দেশ চাই, সে দেশে মসজিদ, মন্দির কোন কিছুই পাহারা দেয়া লাগবে না। সকল ধর্মাবলম্বীরা তাদের মত করে শান্তিতে তাদের ধর্ম পালন করবে।
এর আগে সকালে সাতক্ষীরা পল্লী মঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি।