প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত প্রদানের প্রেক্ষিতে মুসলিমদের ওপর কুরাইশ কাফিরদের অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন ক্রমেই বাড়তে থাকে। অত্যাচারের জাঁতাকলে মুসলিমদের জীবন মক্কায় অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। এক পর্যায়ে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন রাসূল (সা.)।
রাসূল (সা.) এর মদিনায় আগমনের কথা আগেই জানতো স্থানীয়রা। তাই তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে তাঁকে এক নজর দেখা তখনই ছুটে আসেন মদিনার বহু মানুষ। তাদের একজন ছিলেন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম।
মদিনায় রাসূল (সা.) কে দেখতে আসা মানুষদের উদ্দেশ্যে চারটি আমলের নসিহত করেছিলেন তিনি। সেগুলো ছিল মুমিন মুসলমানের জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ আমল। চলুন আজ জেনে নেই সে আমলগুলো কি কি :
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) আনহু এই চারটি আমল সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, নবিজি করিম (সা.) মদিনায় এলেন তখন লোকেরা তাঁর কাছে যেতে লাগলো এবং বলাবলি হতে লাগলো যে, আল্লাহর রাসূল এসেছেন, আল্লাহর রাসূল এসেছেন, আল্লাহর রাসূল এসেছেন (তিনবার)। আমিও লোকজনের সঙ্গে (তাঁকে) দেখতে গেলাম। আমি তাঁর মুখমন্ডল উত্তমরূপে দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা মিথ্যাবাদীর নয়। সর্বপ্রথম তাঁর মুখে আমার শোনা কথা এই যে, তিনি বললেন, হে লোকসকল-
১. أَفْشُوا السَّلاَمَ : তোমরা সালামের ব্যাপক প্রচলন করো,
২. وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ : আর (অপরকে) আহার করাও,
Advertisement
৩. وَصِلُوا الأَرْحَامَ : আর আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো
৪. وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلاَمٍ : এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন রাতের বেলা নামাজ পড়ো। শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, দারেমি)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলতেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার করো, খাদ্য দান করো এবং ভাই ভাই হয়ে সদ্ভাবে থাকো, যেমন মহামহিম আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)।
রাসূল (সা.) এর মদিনায় আগমনের কথা আগেই জানতো স্থানীয়রা। তাই তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে তাঁকে এক নজর দেখা তখনই ছুটে আসেন মদিনার বহু মানুষ। তাদের একজন ছিলেন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম।
মদিনায় রাসূল (সা.) কে দেখতে আসা মানুষদের উদ্দেশ্যে চারটি আমলের নসিহত করেছিলেন তিনি। সেগুলো ছিল মুমিন মুসলমানের জন্য দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ আমল। চলুন আজ জেনে নেই সে আমলগুলো কি কি :
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) আনহু এই চারটি আমল সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, নবিজি করিম (সা.) মদিনায় এলেন তখন লোকেরা তাঁর কাছে যেতে লাগলো এবং বলাবলি হতে লাগলো যে, আল্লাহর রাসূল এসেছেন, আল্লাহর রাসূল এসেছেন, আল্লাহর রাসূল এসেছেন (তিনবার)। আমিও লোকজনের সঙ্গে (তাঁকে) দেখতে গেলাম। আমি তাঁর মুখমন্ডল উত্তমরূপে দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা মিথ্যাবাদীর নয়। সর্বপ্রথম তাঁর মুখে আমার শোনা কথা এই যে, তিনি বললেন, হে লোকসকল-
১. أَفْشُوا السَّلاَمَ : তোমরা সালামের ব্যাপক প্রচলন করো,
২. وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ : আর (অপরকে) আহার করাও,
Advertisement
৩. وَصِلُوا الأَرْحَامَ : আর আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো
৪. وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلاَمٍ : এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন রাতের বেলা নামাজ পড়ো। শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, দারেমি)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলতেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার করো, খাদ্য দান করো এবং ভাই ভাই হয়ে সদ্ভাবে থাকো, যেমন মহামহিম আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)।