দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় 'জিরো টলারেন্স' নীতি বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে বিএনপি। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলের নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ দখল, চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি, মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতি থেকে শুরু করে কোনো ধরনের অপকর্ম করে, তবে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিনই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং খোঁজখবর রাখছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।
তাদের ভাষ্য, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তারেক রহমান সার্বক্ষণিক এসবের খোঁজ রাখছেন। সঙ্গে এ-ও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না। তাই সে যত বড় নেতা বা তার ঘনিষ্ঠ হোন না কেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী থেকে শুরু করে সারা দেশ, সর্বত্রই কঠোর দৃষ্টি রাখছেন তারেক রহমান। রেখেছেন শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থাও। তারই অংশ হিসেবে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই র্যাপিড অ্যাকশনে যাচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর। পাশাপাশি প্রমাণ মিললে করা হচ্ছে বহিষ্কার, না হয় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে শোকজ লেটার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কিংবা জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা, কেউই এ তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন না।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় প্লিজেন্ট প্রপার্টি নামে একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধের জেরে জমির মালিকের ছেলে তানজিল জাহান ইসলাম ওরফে তামিম (৩৪) খুন হন। তানজিল ঢাকার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা ছিলেন। এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে (রবি) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।
এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর চট্টগ্রামে বিএনপির দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়কসহ স্থানীয় তিন নেতা আলোচনায় আসেন বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলমের বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায়। পরে তাদের কমিটি বাতিল করে দেয় বিএনপি। একইসঙ্গে ওই শিল্প গ্রুপের গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগে দলের শোকজ নোটিশ পেয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
বাদ যাননি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও। গত ১৫ আগস্ট নাটোরে 'দলীয় আদর্শের পরিপন্থি' বক্তব্যের অভিযোগে দল থেকে তিনি শোকজ নোটিশ পান। পরে এই নেতা জবাব দিলেও দলের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাকে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
এছাড়া ফরিদপুরের নগরকান্দায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এক কর্মী হত্যার ঘটনার পর দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরেক অভিযোগে দলের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের পদও স্থগিত করা হয়েছে।
আবার বহিষ্কারের পর দলের পক্ষ থেকে মামলাও করা হয়েছে ময়মনসিংহের বিএনপি নেতা ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, এ পর্যন্ত কয়েক শ' নেতাকে দলীয় পদে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কোনো অভিযোগ এলে আমরা সেটি আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি। ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা পেলেই তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হচ্ছে। প্রমাণিত হলে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হচ্ছে। পদ-পদবি স্থগিত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যত বড় নেতাই হোন না কেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি আমাদের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে প্রশাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খবরদারি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবরদারি সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। কারণ এ সব ব্যক্তিরা কেউই বিএনপির প্রতিন�
এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিনই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং খোঁজখবর রাখছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।
তাদের ভাষ্য, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তারেক রহমান সার্বক্ষণিক এসবের খোঁজ রাখছেন। সঙ্গে এ-ও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো ছাড় দেবেন না। তাই সে যত বড় নেতা বা তার ঘনিষ্ঠ হোন না কেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী থেকে শুরু করে সারা দেশ, সর্বত্রই কঠোর দৃষ্টি রাখছেন তারেক রহমান। রেখেছেন শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থাও। তারই অংশ হিসেবে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই র্যাপিড অ্যাকশনে যাচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর। পাশাপাশি প্রমাণ মিললে করা হচ্ছে বহিষ্কার, না হয় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে শোকজ লেটার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কিংবা জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা, কেউই এ তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন না।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় প্লিজেন্ট প্রপার্টি নামে একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধের জেরে জমির মালিকের ছেলে তানজিল জাহান ইসলাম ওরফে তামিম (৩৪) খুন হন। তানজিল ঢাকার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা ছিলেন। এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমকে (রবি) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।
এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর চট্টগ্রামে বিএনপির দক্ষিণ জেলা শাখার আহ্বায়কসহ স্থানীয় তিন নেতা আলোচনায় আসেন বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলমের বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায়। পরে তাদের কমিটি বাতিল করে দেয় বিএনপি। একইসঙ্গে ওই শিল্প গ্রুপের গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগে দলের শোকজ নোটিশ পেয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
বাদ যাননি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও। গত ১৫ আগস্ট নাটোরে 'দলীয় আদর্শের পরিপন্থি' বক্তব্যের অভিযোগে দল থেকে তিনি শোকজ নোটিশ পান। পরে এই নেতা জবাব দিলেও দলের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তাকে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।
এছাড়া ফরিদপুরের নগরকান্দায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এক কর্মী হত্যার ঘটনার পর দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরেক অভিযোগে দলের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের পদও স্থগিত করা হয়েছে।
আবার বহিষ্কারের পর দলের পক্ষ থেকে মামলাও করা হয়েছে ময়মনসিংহের বিএনপি নেতা ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর বিরুদ্ধে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, এ পর্যন্ত কয়েক শ' নেতাকে দলীয় পদে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কোনো অভিযোগ এলে আমরা সেটি আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি। ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা পেলেই তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হচ্ছে। প্রমাণিত হলে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হচ্ছে। পদ-পদবি স্থগিত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যত বড় নেতাই হোন না কেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি আমাদের দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে প্রশাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খবরদারি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবরদারি সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। কারণ এ সব ব্যক্তিরা কেউই বিএনপির প্রতিন�