রাজধানীর ওয়ারী এলাকার চাঞ্চল্যকর দুই ভাই খুনের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ওয়ারী থানার একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আকবর হোসেন, মোঃ আসিফ সুলতান সিফাত ও মোঃ আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ান।
আজ শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ছালেহ উদ্দিন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ছালেহ উদ্দিন বলেন, গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ওয়ারী থানার হাটখোলা রোডের একটি নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। জোড়া খুনের ঘটনায় ভিকটিমদের বড় ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ আগস্ট ওয়ারী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ওয়ারী থানার একটি টিম হত্যাকারীদের শনাক্ত ও তাদের অবস্থান নির্ণয় করে। গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও তাদের দেখানো মতে হাটখোলা রোডের নির্মাণাধীন সেই বিল্ডিংয়ের বাসা হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি বৈদ্যুতিক শক স্ট্যান্ড, ১টি চাকু ও একটি স্টিলের ব্যাটন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ২০১৪ সালে ভিকটিম মোঃ আলামিন ভূইয়া (৩৮) ওয়ারী থানার ১০ নং হাটখোলা রোডে অবস্থিত "ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানীর" সাথে একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি করেন। উক্ত জমির মালিক এ্যাডভোকেট আকবর এর সাথে ২০১৪ সালে রিয়েল স্টেট কোম্পানীর মালিক রিমন এর সাথে বিল্ডিং তৈরির আরও একটি চুক্তি হয়। কিন্তু রিমন সেই জমিতে কোন বিল্ডিং তৈরি করেনি। পরবর্তীতে ১০ বছরেও উক্ত স্থানে বিল্ডিং নির্মাণ না করায় ল্যান্ড ওনার এ্যাডভোকেট আকবর সে জায়গায় নিজেদের অর্থায়নে বিল্ডিংয়ের ২য় তালা পর্যন্ত নির্মাণ করে। ঘটনার দিন ভিকটিম সেই নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে গিয়ে জমির মালিক গ্রেফতারকৃত অ্যাডভোকেট আকবরের কাছে বলেন যে, ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানীর সাথে আমার চুক্তি আছে আমাকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেন। রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর সাথে ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি করে জমির মালিকের কাছে ফ্ল্যাটের বিষয়ে কথা বলতে আসায় তাদের মধ্যে কথা কথাকাটাকাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত সিফাতের নেতৃত্বে ভিকটিমদের শরীরের বিভিন্ন স্থালে এ্যালোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ছালেহ উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।ডিএমপি নিউজ :
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আকবর হোসেন, মোঃ আসিফ সুলতান সিফাত ও মোঃ আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ান।
আজ শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ছালেহ উদ্দিন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ছালেহ উদ্দিন বলেন, গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ওয়ারী থানার হাটখোলা রোডের একটি নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। জোড়া খুনের ঘটনায় ভিকটিমদের বড় ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ আগস্ট ওয়ারী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ওয়ারী থানার একটি টিম হত্যাকারীদের শনাক্ত ও তাদের অবস্থান নির্ণয় করে। গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও তাদের দেখানো মতে হাটখোলা রোডের নির্মাণাধীন সেই বিল্ডিংয়ের বাসা হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি বৈদ্যুতিক শক স্ট্যান্ড, ১টি চাকু ও একটি স্টিলের ব্যাটন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ২০১৪ সালে ভিকটিম মোঃ আলামিন ভূইয়া (৩৮) ওয়ারী থানার ১০ নং হাটখোলা রোডে অবস্থিত "ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানীর" সাথে একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি করেন। উক্ত জমির মালিক এ্যাডভোকেট আকবর এর সাথে ২০১৪ সালে রিয়েল স্টেট কোম্পানীর মালিক রিমন এর সাথে বিল্ডিং তৈরির আরও একটি চুক্তি হয়। কিন্তু রিমন সেই জমিতে কোন বিল্ডিং তৈরি করেনি। পরবর্তীতে ১০ বছরেও উক্ত স্থানে বিল্ডিং নির্মাণ না করায় ল্যান্ড ওনার এ্যাডভোকেট আকবর সে জায়গায় নিজেদের অর্থায়নে বিল্ডিংয়ের ২য় তালা পর্যন্ত নির্মাণ করে। ঘটনার দিন ভিকটিম সেই নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে গিয়ে জমির মালিক গ্রেফতারকৃত অ্যাডভোকেট আকবরের কাছে বলেন যে, ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানীর সাথে আমার চুক্তি আছে আমাকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেন। রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর সাথে ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি করে জমির মালিকের কাছে ফ্ল্যাটের বিষয়ে কথা বলতে আসায় তাদের মধ্যে কথা কথাকাটাকাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত সিফাতের নেতৃত্বে ভিকটিমদের শরীরের বিভিন্ন স্থালে এ্যালোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ছালেহ উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।ডিএমপি নিউজ :