চীনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়, আমরা এক সঙ্গে বড় কিছু অর্জন করতে পারি।
দ্বিপক্ষীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার সকালে বেইজিংয়ের একটি হোটেলে 'বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুবিধা' শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। যৌথ ভাবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) সাংগ্রিলা হোটেলে সম্মেলনটির আয়োজন করে।
বিনিয়োগের জন্য চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের প্রধান সেক্টরগুলোকে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অবকাঠামো, জ্বালানি ও লজিস্টিক সেক্টরে বিনিয়োগের অপার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় সেক্টর তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প এবং উন্নয়ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে আসতেও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, চীন এখানে রিয়েল স্টেট ও সেবা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। এসব সেক্টরের বাইরেও নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ সম্ভবনা অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সক্রিয় ভাবে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। স্টার্টআপদের প্রণোদনা, টেক পার্কে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরিকে উৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশে ভূকৌশলগত অবস্থানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সকল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিবহন রুটের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কানেকটিভিটি রয়েছে। এছাড়াও আমরা দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া কেন্দ্রে। আমরা অব্যাহত ভাবে আমাদের সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর এবং স্থলপথগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা লাভজনক করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৮ হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও বিনিয়োগের জন্য এসব অর্থনৈতিক ভালো ভাবে প্রস্তুত।
'বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুবিধা' শীর্ষক এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও চীনের কয়েকশ উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী অংশ নেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্য বিষয়ক চীনা ভাইস মিনিস্টার লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টংজোউ, এইচএসবিসি চীনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়নার রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬ টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বিডি প্রতিদিন
দ্বিপক্ষীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার সকালে বেইজিংয়ের একটি হোটেলে 'বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুবিধা' শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। যৌথ ভাবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) সাংগ্রিলা হোটেলে সম্মেলনটির আয়োজন করে।
বিনিয়োগের জন্য চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের প্রধান সেক্টরগুলোকে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অবকাঠামো, জ্বালানি ও লজিস্টিক সেক্টরে বিনিয়োগের অপার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় সেক্টর তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প এবং উন্নয়ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে আসতেও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, চীন এখানে রিয়েল স্টেট ও সেবা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। এসব সেক্টরের বাইরেও নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ সম্ভবনা অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সক্রিয় ভাবে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। স্টার্টআপদের প্রণোদনা, টেক পার্কে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরিকে উৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশে ভূকৌশলগত অবস্থানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সকল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিবহন রুটের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কানেকটিভিটি রয়েছে। এছাড়াও আমরা দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া কেন্দ্রে। আমরা অব্যাহত ভাবে আমাদের সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর এবং স্থলপথগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা লাভজনক করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৮ হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও বিনিয়োগের জন্য এসব অর্থনৈতিক ভালো ভাবে প্রস্তুত।
'বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুবিধা' শীর্ষক এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও চীনের কয়েকশ উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী অংশ নেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্য বিষয়ক চীনা ভাইস মিনিস্টার লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টংজোউ, এইচএসবিসি চীনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়নার রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬ টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বিডি প্রতিদিন