আসছে কোরবানির ঈদ। এ সময়ে একটু বেশিই রেড মিট খাওয়া পড়ে। মানবদেহের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্যও খাদ্যতালিকায় জায়গা দেওয়া হয় রেডমিট বা লাল মাংস। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মতো স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংসকে রেডমিট বলা হয়। 'রেডমিট' শব্দটি শুনলেই আমরা মনে করি, এটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক রেডমিট স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কি না; ক্ষতিকর হলে তা কতটা ক্ষতি করে এবং কতটুকু রেডমিট খাওয়া যেতে পারে।
রেড মিডকে অনেকেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন, আবার কেউবা মনে করেন ক্ষতিকর। এ কারণেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রেড মিট খাওয়ার উপকারিতা, এর ক্ষতিকর দিক এবং ঝুঁকিগুলো নিয়ে প্রায়ই গবেষণা করে থাকেন। অনেকের মতে, এই মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না ক্ষতিকর, তা নির্ধারণ করা বেশ জটিল। তবে স্বাস্থ্যের ওপর রেড মিটের প্রভাব নিয়ে করা অতি সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ সম্পর্কে অনেক ধারণাকেই পাল্টে দেবে।
গবেষণায় ফলাফলে যা পাওয়া গেছে—
আরও পড়ুন
গরমে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভীষণ উপকারী 'ঝিঙে'
সম্প্রতি রেড মিট সম্পর্কে বিভিন্ন শঙ্কা দূর করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) এক দল গবেষক নতুন ওই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। দেশটির ১৮০টি এলাকার লক্ষাধিক মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণার বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন যে, ভালো করে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত রেড মিটের বেশি খাওয়ার সঙ্গে স্ট্রোকের জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মানে, একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অপ্রক্রিয়াজাত রেড মিট খান, তার মানে এই নয় যে তিনি স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকবেন।
এ গবেষণা দলটি শরীরে ধূমপান, রেড মিট এবং শাকসবজির বিভিন্ন প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধান করেছে। এ সময়ে প্রাপ্ত ফলাফলগুলোকে তারা এক থেকে পাঁচ রেটিংয়ে ভাগ করেছে। গবেষকরা প্রচুর পরিমাণে অপ্রক্রিয়াজাত রেড মিট খাওয়ার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকির জন্য শুধুমাত্র সিঙ্গল স্টার দিয়েছে, যার মানে হলো প্রক্রিয়াবিহীন রেড মিট স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত। একই সঙ্গে এ মাংস খেলে কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিকে টু-স্টার রেটিং দেওয়া হয়েছে।
রেডমিট খাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:
১. রেডমিটে প্রচুর এলডিএল কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড থাকায় রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
২. স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টি করে, যার কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত রেডমিট খেলে বদহজম হতে পারে, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যা বেড়ে যায়।
৪. টাইপ-টু ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫. বৃহদান্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত, পাকস্থলি, কোলন, প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬. আর্থাইটিস ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭. শরীরে ক্ষতিকর ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে।
৮. শরীরে ফ্যাট জমে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের রেডমিট পরিহার করা উচিৎ। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে।
রেডমিট রান্না করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করলে গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
মাংস পুড়িয়ে বা অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে রান্না করা হলে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বারবার গরম করা মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো না। এগুলো হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে ক্রমশ বাড়িয়ে তোলে।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক রেডমিট স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর কি না; ক্ষতিকর হলে তা কতটা ক্ষতি করে এবং কতটুকু রেডমিট খাওয়া যেতে পারে।
রেড মিডকে অনেকেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করেন, আবার কেউবা মনে করেন ক্ষতিকর। এ কারণেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রেড মিট খাওয়ার উপকারিতা, এর ক্ষতিকর দিক এবং ঝুঁকিগুলো নিয়ে প্রায়ই গবেষণা করে থাকেন। অনেকের মতে, এই মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না ক্ষতিকর, তা নির্ধারণ করা বেশ জটিল। তবে স্বাস্থ্যের ওপর রেড মিটের প্রভাব নিয়ে করা অতি সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এ সম্পর্কে অনেক ধারণাকেই পাল্টে দেবে।
গবেষণায় ফলাফলে যা পাওয়া গেছে—
আরও পড়ুন
গরমে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভীষণ উপকারী 'ঝিঙে'
সম্প্রতি রেড মিট সম্পর্কে বিভিন্ন শঙ্কা দূর করার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) এক দল গবেষক নতুন ওই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। দেশটির ১৮০টি এলাকার লক্ষাধিক মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণার বিশ্লেষণ করে তারা বলেছেন যে, ভালো করে রান্না বা প্রক্রিয়াজাত রেড মিটের বেশি খাওয়ার সঙ্গে স্ট্রোকের জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মানে, একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অপ্রক্রিয়াজাত রেড মিট খান, তার মানে এই নয় যে তিনি স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকবেন।
এ গবেষণা দলটি শরীরে ধূমপান, রেড মিট এবং শাকসবজির বিভিন্ন প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধান করেছে। এ সময়ে প্রাপ্ত ফলাফলগুলোকে তারা এক থেকে পাঁচ রেটিংয়ে ভাগ করেছে। গবেষকরা প্রচুর পরিমাণে অপ্রক্রিয়াজাত রেড মিট খাওয়ার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকির জন্য শুধুমাত্র সিঙ্গল স্টার দিয়েছে, যার মানে হলো প্রক্রিয়াবিহীন রেড মিট স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত। একই সঙ্গে এ মাংস খেলে কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিকে টু-স্টার রেটিং দেওয়া হয়েছে।
রেডমিট খাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন:
১. রেডমিটে প্রচুর এলডিএল কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড থাকায় রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
২. স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টি করে, যার কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত রেডমিট খেলে বদহজম হতে পারে, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যা বেড়ে যায়।
৪. টাইপ-টু ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫. বৃহদান্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত, পাকস্থলি, কোলন, প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬. আর্থাইটিস ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭. শরীরে ক্ষতিকর ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে।
৮. শরীরে ফ্যাট জমে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের রেডমিট পরিহার করা উচিৎ। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে।
রেডমিট রান্না করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করলে গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
মাংস পুড়িয়ে বা অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে রান্না করা হলে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বারবার গরম করা মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো না। এগুলো হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাকে ক্রমশ বাড়িয়ে তোলে।