প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ আটকের ১২ ঘণ্টা পর পাবনার সুজানগর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটক হওয়ার সময় তার সাথে থাকা অর্থ নির্বাচনি ব্যয়সীমার মধ্যে হওয়ায় তার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরে মুচলেকা নিয়ে শাহীনুজ্জামান শাহীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে র্যাব জানিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনি এলাকা থেকে ১১ সহযোগীসহ তাকে আটক করে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।
শাহীনুজ্জামান শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার নির্বাচনি প্রতীক আনারস। আগামীকাল বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে এই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
র্যাব কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাহীনুজ্জামান বলেন, আমার নির্বাচনি ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকা। প্রচারণার শুরু থেকে মাইক, পোস্টার, ভ্যানভাড়া সহ বিভিন্ন কাজে যে ব্যয় হয়েছে সে টাকা আমি প্রচারণা শেষে পরিশোধের চুক্তি করেছিলাম। সে টাকাসহ সোমবার রাতে র্যাব আমাকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সকালে টাকার উৎস ও ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার পর নির্বাচনি আইন পর্যালোচনা করে তা আইনসম্মত হওয়ায় তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। এটা আসলে নিছক ভুল বোঝাবুঝি।
শাহীন আরও বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমার প্রতিপক্ষরা এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত। তারা এ ঘটনাকে নানা রঙ দিয়ে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে আমি আমার দলের নেতাকর্মী ও সুজানগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমি নিশ্চিত ভোটের মাধ্যমেই তারা এর জবাব দেবে।
রাতে শাহীনকে আটকের পর থেকে থানার সামনে আন্দোলন শুরু করেন শাহীনের সমর্থকরা। সকালে সুজানগর বাজারে সড়ক অবরোধ করে তারা শাহীনের মুক্তি দাবি করেন। মুক্তির খবর সেখানে পৌঁছালে আনন্দে মেতে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, দুপুরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শাহীনসহ তার সহযোগীদের। তবে টাকাগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে। তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তাকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
মঙ্গলবার দুপুরে মুচলেকা নিয়ে শাহীনুজ্জামান শাহীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে র্যাব জানিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনি এলাকা থেকে ১১ সহযোগীসহ তাকে আটক করে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।
শাহীনুজ্জামান শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার নির্বাচনি প্রতীক আনারস। আগামীকাল বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে এই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
র্যাব কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাহীনুজ্জামান বলেন, আমার নির্বাচনি ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকা। প্রচারণার শুরু থেকে মাইক, পোস্টার, ভ্যানভাড়া সহ বিভিন্ন কাজে যে ব্যয় হয়েছে সে টাকা আমি প্রচারণা শেষে পরিশোধের চুক্তি করেছিলাম। সে টাকাসহ সোমবার রাতে র্যাব আমাকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সকালে টাকার উৎস ও ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার পর নির্বাচনি আইন পর্যালোচনা করে তা আইনসম্মত হওয়ায় তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। এটা আসলে নিছক ভুল বোঝাবুঝি।
শাহীন আরও বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমার প্রতিপক্ষরা এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত। তারা এ ঘটনাকে নানা রঙ দিয়ে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে আমি আমার দলের নেতাকর্মী ও সুজানগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমি নিশ্চিত ভোটের মাধ্যমেই তারা এর জবাব দেবে।
রাতে শাহীনকে আটকের পর থেকে থানার সামনে আন্দোলন শুরু করেন শাহীনের সমর্থকরা। সকালে সুজানগর বাজারে সড়ক অবরোধ করে তারা শাহীনের মুক্তি দাবি করেন। মুক্তির খবর সেখানে পৌঁছালে আনন্দে মেতে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, দুপুরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শাহীনসহ তার সহযোগীদের। তবে টাকাগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে। তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। তাকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত