থাইরয়েড এখন খুব সাধারণ একটা অসুখ। এই রোগটি পুরুষদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে নারীদের। কিছু কিছু খাবার আছে যা এই রোগীদের জন্য ভালো হলেও কিছু কিছু খাবার একদমই বর্জনীয়। থাইরয়েড রোগীদের খাদ্যাভাস কেমন হবে চলুন তা জেনে নেয়া যাক।
প্রথমেই জেনে নেই থাইরয়েড কী?
থাইরয়েড হলো একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। গ্রন্থিতে তৈরি হরমোন দেহের প্রায় সকল বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। আর যখনই তা সঠিক ভাবে নিস্বরিত হয় না তখনি নানাধরণের সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েডে সমস্যা দেখা দিলে অনেক সময় প্রয়োজনের বেশি হরমোন উৎপাদন করে যাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম, আবার প্রয়োজনের তুলনায় কম হরমোন উৎপাদন হলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। দুই ক্ষেত্রেই দেখা যায় রোগীর ওজন বেড়ে কিংবা কমে যেতে থাকে, গরম সহ্য করতে পারে না, বিষন্নতা দেখা দেয়, খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন। চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যের প্রভাব এই রোগের উপর বেশ ভালোভাবে পরে।
থাইরয়েড রোগীদের যেসব খাবার বেশি খাওয়া উচিত:
১, শরীরে হরমোন উৎপাদনের জন্য আয়োডিন অনেক জরুরি। কারণ এর অভাবে অনেকসময় হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন খাবারে আয়োডিন থাকলেও সামুদ্রিক মাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আয়োডিন পাওয়া যায় । তাই চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখার।
২. থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব পরে কোলেস্টেরলের উপর। ব্রাজিল বাদাম কোলেস্টেরল পরিমান কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। এটি থাইরয়েডের ফলে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কমিয়ে আনার পাশাপাশি সেলেনিয়াম ইনসুলিনের পরিমান কমিয়ে আনে যার ফলে থাইরয়েড রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। থাইরয়েডের সমস্যা হলে রোগীদের মধ্যে অনেক সময় বিষন্নতা দেখা দেয়। এই সময় নিয়মিত ব্রাজিল বাদাম খেলে ব্রেইনের স্বাস্থ্য ভালো থাকার সাথেসাথে বিষন্নতা সহ নানা রকম মানসিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. মূলত আয়োডিন ও সেলেনিয়ামের অভাবেই থাইরয়েডে সমস্যা দেখা দেয়। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়োডিন ও সেলেনিয়াম। তাই থাইরয়েড রোগীদের অবশ্যই নিয়ম করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিম থাইরয়েড ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
৪. ফ্যাটি এসিড হরমোনের ঘাটতি পূরনে সাহায্য করে। খাঁটি নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি এসিড। তাই থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিত। থাইরয়েড রোগীদের অনেক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে নারকেল তেল খুব উপকারী। নারকেল তেল হাড়ের ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নারকেল তেল খাওয়া উচিত কেননা এতে দেহের অতিরিক্ত অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট কমে যায়।
৫. ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খুব উপকারী থাইরয়েড রোগীদের। আর মাছে রয়েছে প্রচুর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিশেষ করে স্যামন মাছে। এছাড়া টুনা মাছ ও চিংড়িসহ যেকোনো ধরনের মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমানের আয়োডিন ভিটামিন ' এ ' ও ভিটামিন ' ডি '।
থাইরয়েড রোগীদের যেসব খাবার থেকে দুরে রাখতে হবে:
১. বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, সয়াসস, পালংক শাক ইত্যাদি খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমানের গয়ট্রোজেনাস। যা থাইরয়েড রোগীদের খেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু রান্না করলে এইসব খাবার থেকে গয়ট্রোজেনাস কমে যায়। তাই এই জাতীয় খাবার পরিমানমতো ভাবে খেতে পারবে এসব রোগীরা।
২. চা বা কফিতে প্রচুর পরিমানে ক্যাফেইন রয়েছে। তাই থাইরয়েড রোগীদের চা বা কফি থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ ক্যাফেইন যুক্ত খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৩. যাদের থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও তেল মশলা জাতীয় খাবার তেকে দুরে থাকতে হবে। এইসব খাবার তাদের উপসর্গকে আরো বাড়িয়ে তোলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য থাইরয়েড রোগীদের জাঙ্কফুড খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
৪. চিনি কিংবা চিনিযুক্ত যে কোনো খাবার থাইরয়েড রোগীদের পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে বোতলের সফট ড্রিংকস।
প্রথমেই জেনে নেই থাইরয়েড কী?
থাইরয়েড হলো একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। গ্রন্থিতে তৈরি হরমোন দেহের প্রায় সকল বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। আর যখনই তা সঠিক ভাবে নিস্বরিত হয় না তখনি নানাধরণের সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েডে সমস্যা দেখা দিলে অনেক সময় প্রয়োজনের বেশি হরমোন উৎপাদন করে যাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম, আবার প্রয়োজনের তুলনায় কম হরমোন উৎপাদন হলে তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে। দুই ক্ষেত্রেই দেখা যায় রোগীর ওজন বেড়ে কিংবা কমে যেতে থাকে, গরম সহ্য করতে পারে না, বিষন্নতা দেখা দেয়, খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন। চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যের প্রভাব এই রোগের উপর বেশ ভালোভাবে পরে।
থাইরয়েড রোগীদের যেসব খাবার বেশি খাওয়া উচিত:
১, শরীরে হরমোন উৎপাদনের জন্য আয়োডিন অনেক জরুরি। কারণ এর অভাবে অনেকসময় হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন খাবারে আয়োডিন থাকলেও সামুদ্রিক মাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আয়োডিন পাওয়া যায় । তাই চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখার।
২. থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব পরে কোলেস্টেরলের উপর। ব্রাজিল বাদাম কোলেস্টেরল পরিমান কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। এটি থাইরয়েডের ফলে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি কমিয়ে আনার পাশাপাশি সেলেনিয়াম ইনসুলিনের পরিমান কমিয়ে আনে যার ফলে থাইরয়েড রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। থাইরয়েডের সমস্যা হলে রোগীদের মধ্যে অনেক সময় বিষন্নতা দেখা দেয়। এই সময় নিয়মিত ব্রাজিল বাদাম খেলে ব্রেইনের স্বাস্থ্য ভালো থাকার সাথেসাথে বিষন্নতা সহ নানা রকম মানসিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. মূলত আয়োডিন ও সেলেনিয়ামের অভাবেই থাইরয়েডে সমস্যা দেখা দেয়। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়োডিন ও সেলেনিয়াম। তাই থাইরয়েড রোগীদের অবশ্যই নিয়ম করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিম থাইরয়েড ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
৪. ফ্যাটি এসিড হরমোনের ঘাটতি পূরনে সাহায্য করে। খাঁটি নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি এসিড। তাই থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিত। থাইরয়েড রোগীদের অনেক সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে নারকেল তেল খুব উপকারী। নারকেল তেল হাড়ের ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নারকেল তেল খাওয়া উচিত কেননা এতে দেহের অতিরিক্ত অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট কমে যায়।
৫. ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খুব উপকারী থাইরয়েড রোগীদের। আর মাছে রয়েছে প্রচুর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিশেষ করে স্যামন মাছে। এছাড়া টুনা মাছ ও চিংড়িসহ যেকোনো ধরনের মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমানের আয়োডিন ভিটামিন ' এ ' ও ভিটামিন ' ডি '।
থাইরয়েড রোগীদের যেসব খাবার থেকে দুরে রাখতে হবে:
১. বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, সয়াসস, পালংক শাক ইত্যাদি খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমানের গয়ট্রোজেনাস। যা থাইরয়েড রোগীদের খেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু রান্না করলে এইসব খাবার থেকে গয়ট্রোজেনাস কমে যায়। তাই এই জাতীয় খাবার পরিমানমতো ভাবে খেতে পারবে এসব রোগীরা।
২. চা বা কফিতে প্রচুর পরিমানে ক্যাফেইন রয়েছে। তাই থাইরয়েড রোগীদের চা বা কফি থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ ক্যাফেইন যুক্ত খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৩. যাদের থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও তেল মশলা জাতীয় খাবার তেকে দুরে থাকতে হবে। এইসব খাবার তাদের উপসর্গকে আরো বাড়িয়ে তোলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য থাইরয়েড রোগীদের জাঙ্কফুড খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
৪. চিনি কিংবা চিনিযুক্ত যে কোনো খাবার থাইরয়েড রোগীদের পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে বোতলের সফট ড্রিংকস।