তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কারাদণ্ড জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার অপপ্রয়াস: রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম
রাবি প্রতিনিধি:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায় প্রদান রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ও ফরমায়েশী উল্লেখ করেছে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড দিয়ে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
আজ বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুল হাসান খান-সহ (মুক্তা) সকল সদস্য গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অসত্য অভিযোগে গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১৬ কার্যদিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। দুইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে রাত ৭টা পর্যন্ত। কোর্ট অফিসার হিসেবে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের থাকার কথা থাকলেও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে তাদের বের করে দিয়েছে। নজিরবিহীন সব ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিদ্রুত এই মামলার কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে যা দুরভিসন্ধিমূলক।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১০১বার পেছানো হয়েছে। রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৩বার পেছানো হয়েছে। এসব জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। কিন্তু জনাব তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনার ভূয়া মামলার রায় মাত্র ১ মাস ২০ দিনে প্রদান করা হয়েছে। এটা দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, এই রায়ে সরকার আদালতের মাধ্যমে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করছে। এই ধরনের রায় দিয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই সরকার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগ তার মধ্যে অন্যতম। যার প্রমাণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নজীরবিহীনভাবে নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কর্তৃক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত ১৪ বছরে সারাদেশে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, যেকোনো উপায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে দেশে পুনরায় ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করা। তাদের সেই আশা দেশের জনগণ কখনোই পূরণ হতে দেবে না।
তারা আরও বলেন, অতীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে যেভাবে সাজা প্রদান করা হয়েছে ঠিক একই কায়দায় চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফল নেতৃত্ব দানকারী তরুণ প্রজন্মের নেতা, বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার স্থল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে অযোগ্য প্রমাণ করা এবং বিএনপিকে নেতৃত্ব শুণ্য করার যে অপপ্রয়াস সরকার চালাচ্ছে তা এদেশের জনগণই প্রতিহত করবে।
মারুফ হোসেন মিশন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২ আগস্ট, ২০২৩
রাবি প্রতিনিধি:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায় প্রদান রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ও ফরমায়েশী উল্লেখ করেছে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড দিয়ে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
আজ বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুল হাসান খান-সহ (মুক্তা) সকল সদস্য গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অসত্য অভিযোগে গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১৬ কার্যদিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। দুইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে রাত ৭টা পর্যন্ত। কোর্ট অফিসার হিসেবে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের থাকার কথা থাকলেও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা মারধর করে তাদের বের করে দিয়েছে। নজিরবিহীন সব ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিদ্রুত এই মামলার কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে যা দুরভিসন্ধিমূলক।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১০১বার পেছানো হয়েছে। রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৩বার পেছানো হয়েছে। এসব জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। কিন্তু জনাব তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনার ভূয়া মামলার রায় মাত্র ১ মাস ২০ দিনে প্রদান করা হয়েছে। এটা দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, এই রায়ে সরকার আদালতের মাধ্যমে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করছে। এই ধরনের রায় দিয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই সরকার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগ তার মধ্যে অন্যতম। যার প্রমাণ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নজীরবিহীনভাবে নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কর্তৃক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত ১৪ বছরে সারাদেশে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, যেকোনো উপায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে দেশে পুনরায় ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করা। তাদের সেই আশা দেশের জনগণ কখনোই পূরণ হতে দেবে না।
তারা আরও বলেন, অতীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে যেভাবে সাজা প্রদান করা হয়েছে ঠিক একই কায়দায় চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফল নেতৃত্ব দানকারী তরুণ প্রজন্মের নেতা, বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার স্থল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে অযোগ্য প্রমাণ করা এবং বিএনপিকে নেতৃত্ব শুণ্য করার যে অপপ্রয়াস সরকার চালাচ্ছে তা এদেশের জনগণই প্রতিহত করবে।
মারুফ হোসেন মিশন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২ আগস্ট, ২০২৩