এখনকার কাজ এখন করার যে সক্ষমতা যে উদ্যম যে অন্তঃপ্রেরণা এটা একজন মানুষের বিশেষ গুণ বিশেষ যোগ্যতা। এবং এই যে আজকের কাজ- আজকে এখনকার কাজ এখন। কাজ শেষ করে তারপরে অন্যকিছু। এই কাজ শেষ করে তারপরে অন্যকিছু - এটাই হচ্ছে সফল মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ। কারণ তার এই যে উদ্যম তার এই যে আগ্রহ তার এই স্পিরিট - এটা সবসময় তাকে কর্মসম্পাদনকারীদের মধ্যে অগ্রগামী করে রাখে। আর যে অগ্রগামী হতে পারে কর্মসম্পাদনে সেই আসলে বিজয়ী হয়। কর্মসম্পাদনে অগ্রগামী হতে না পারলে কখনো বিজয়ী হওয়া যায় না। তাকে পিছিয়ে পড়তে হয়।
আজ যা করতে পারতাম আজকে সেটা আমরা করি না ফেলে রাখি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। যখন দেখি এখন আর না করলেই নয় তখন করি। কেন করি? আসলে কেন করি এটাও আমাদের কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত যে কেন করি?
কারণটা কিন্তু খুব সিম্পল। কারণটা আমাদের নফস বা আমাদের স্বভাবের মধ্যেই জড়িত আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই জড়িত। আমাদের সিস্টেম হচ্ছে বহুকিছুর সম্মিলন সংমিশ্রণ। যে ফেলে রাখি কেন- আজকের কাজটা আজকে করি না কেন? কারণ আমরা বলব যে দীর্ঘসূত্রিতা আলস্য। আচ্ছা করবো নে। আলস্যটা কেন আসে? এটা হচ্ছে আমাদের ব্রেনের দুটো সিস্টেমের মধ্যে লড়াই যুদ্ধ। যুদ্ধ মানে মারামারি ফাটাফাটি না, যুদ্ধ মানে কৌশলের লড়াই। মোটিভেশনাল লড়াই। একটা হচ্ছে লিম্বিক সিস্টেম আরেকটা হচ্ছে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স। এই দুটো সিস্টেমের মধ্যে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব বলা যেতে পারে। দুটো সিস্টেমের মধ্যে একটা বাদানুবাদ, দুটো সিস্টেম পরস্পর পরস্পরকে প্রভাবিত করার একটা প্রচেষ্টা।
লিম্বিক সিস্টেম আমাদের অপছন্দনীয় বা বিপজ্জনক কিছু থেকে বিরত রাখে লিম্বিক সিস্টেম এটা হচ্ছে মস্তিষ্কের একটা অংশ। এটাকে আমরা অচেতন অংশ বলতে পারি। যা প্লেজার সেন্টার অর্থাৎ আনন্দ অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এই প্লেজার সেন্টার এটা হচ্ছে আমাদের অপছন্দনীয় বা বিপজ্জনক কিছু থেকে আমাদের বিরত রাখে। এটা আমাদেরকে আরামে রাখতে চায় সবসময়। মানে আরাম প্রিয়। এ চায় যে তাৎক্ষণিক মুডটা ঠিক হবে এরকম কাজের মধ্যে লিপ্ত রাখতে। এই ক্ষণিকের যে আনন্দ, এই যে আনন্দের মধ্যে মুডটা ভালো করার জন্যে আনন্দ অনুভূতি দেয়ার জন্যে হচ্ছে এই সিস্টেমটা কাজ করে।
প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স হচ্ছে প্ল্যান মাস্টার, সে সবসময় প্ল্যান করে। এখন আর প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স বলতে পারেন যে আপনার প্ল্যান মাস্টার। সে সবসময় প্ল্যান করে। কপালের ভেতরে কাছেই এটার অবস্থান। এখন সিদ্ধান্ত আপনি নিলেন এটা হচ্ছে সচেতন অংশ। নেয়ার পরে সেটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব হচ্ছে এই প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের। প্ল্যান তো হলো এখন এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব হচ্ছে কর্টেক্সের। কিন্তু এই কর্টেক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে না। লিম্বিক সিস্টেম যেরকম অটোমেশনের মতো কাজ সে প্লেজার চায় সবসময়। সে ঝামেলা থেকে অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিপজ্জনক কিছু থেকে আপনাকে সবসময় বিরত রাখতে চায় অটোমেটিক তার প্রচেষ্টা। আপনার কষ্ট হবে থাক। ঘুম থেকে ওঠতে হবে এখন। ওঠতে চাচ্ছে না আচ্ছা থাক না থাক থাক। (হাসি) মানে এটা হচ্ছে লিম্বিক সিস্টেমের কাজ।
ক্রমাগত উইল পাওয়ার প্রয়োগ না করলে লিম্বিক সিস্টেম আপনাকে আলস্যে ডুবিয়ে দেবে এখন প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের কাজ কিন্তু অটোমেটিক না। সে অটোমেটিক আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবে না। সচেতনভাবে যদি আপনি একে সচল না রাখেন অর্থাৎ আপনার ক্রমাগত উইল পাওয়ার ইচ্ছা এটার ওপরে যদি প্রয়োগ না করেন তাহলে লিম্বিক সিস্টেম ঘাঁটি গেড়ে বসে যাবে। আপনাকে ঐ আলস্যের মধ্যে ডুবিয়ে দেবে। এবং যে কাজ করাটা একটু পরিশ্রম আছে একটু আয়েশ আছে এবং প্রয়োজনীয় সেটা না করে তখন ভাবি আচ্ছা থাক করবো নে বিকেলে করব। বিকেল হলে ভাবি বিকেল তো হয়েই গেছে, আজকে তো এখন কাজটা ধরে শেষ করতে পারব না। (হাসি) অ্যা অমুক বন্ধু আসছে তার সাথে একটু গল্প করলে ভালো। আচ্ছা ঠিক আছে, বন্ধু চলে গেলে পরে রাতে কাজ করব। যখন রাত হলো ইস খাওয়ার সময়তো হয়ে গেছে আজকে থাক কালকে ভোর থেকে ওঠে কাজ করব। তো এভাবে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয় এবং দেরি হয়ে যায়।
আজ না কাল করব এমন যারা ভাবেন, দীর্ঘসূত্রিতা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। বৃটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরোইস ২০ বছর ধরে দীর্ঘসূত্রিতার ওপর গবেষণা করেছেন, তার গবেষণা রিপোর্ট হচ্ছে যে আজ না কাল করব এমনটা যারা ভাবেন তাদের কাজ যে কেবল পিছিয়ে যায় তা নয়, দীর্ঘসূত্রিতা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় এবং দীর্ঘসূত্রিতা যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাদের জীবনে স্ট্রেসটা বেড়ে যায়। অনিদ্রা মাথাব্যথা হজমের সমস্যা সর্দি বা ফ্লু-তে তাদের আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু দীর্ঘসূত্রিতা থেকে �
আজ যা করতে পারতাম আজকে সেটা আমরা করি না ফেলে রাখি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। যখন দেখি এখন আর না করলেই নয় তখন করি। কেন করি? আসলে কেন করি এটাও আমাদের কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত যে কেন করি?
কারণটা কিন্তু খুব সিম্পল। কারণটা আমাদের নফস বা আমাদের স্বভাবের মধ্যেই জড়িত আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই জড়িত। আমাদের সিস্টেম হচ্ছে বহুকিছুর সম্মিলন সংমিশ্রণ। যে ফেলে রাখি কেন- আজকের কাজটা আজকে করি না কেন? কারণ আমরা বলব যে দীর্ঘসূত্রিতা আলস্য। আচ্ছা করবো নে। আলস্যটা কেন আসে? এটা হচ্ছে আমাদের ব্রেনের দুটো সিস্টেমের মধ্যে লড়াই যুদ্ধ। যুদ্ধ মানে মারামারি ফাটাফাটি না, যুদ্ধ মানে কৌশলের লড়াই। মোটিভেশনাল লড়াই। একটা হচ্ছে লিম্বিক সিস্টেম আরেকটা হচ্ছে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স। এই দুটো সিস্টেমের মধ্যে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব বলা যেতে পারে। দুটো সিস্টেমের মধ্যে একটা বাদানুবাদ, দুটো সিস্টেম পরস্পর পরস্পরকে প্রভাবিত করার একটা প্রচেষ্টা।
লিম্বিক সিস্টেম আমাদের অপছন্দনীয় বা বিপজ্জনক কিছু থেকে বিরত রাখে লিম্বিক সিস্টেম এটা হচ্ছে মস্তিষ্কের একটা অংশ। এটাকে আমরা অচেতন অংশ বলতে পারি। যা প্লেজার সেন্টার অর্থাৎ আনন্দ অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এই প্লেজার সেন্টার এটা হচ্ছে আমাদের অপছন্দনীয় বা বিপজ্জনক কিছু থেকে আমাদের বিরত রাখে। এটা আমাদেরকে আরামে রাখতে চায় সবসময়। মানে আরাম প্রিয়। এ চায় যে তাৎক্ষণিক মুডটা ঠিক হবে এরকম কাজের মধ্যে লিপ্ত রাখতে। এই ক্ষণিকের যে আনন্দ, এই যে আনন্দের মধ্যে মুডটা ভালো করার জন্যে আনন্দ অনুভূতি দেয়ার জন্যে হচ্ছে এই সিস্টেমটা কাজ করে।
প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স হচ্ছে প্ল্যান মাস্টার, সে সবসময় প্ল্যান করে। এখন আর প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স বলতে পারেন যে আপনার প্ল্যান মাস্টার। সে সবসময় প্ল্যান করে। কপালের ভেতরে কাছেই এটার অবস্থান। এখন সিদ্ধান্ত আপনি নিলেন এটা হচ্ছে সচেতন অংশ। নেয়ার পরে সেটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব হচ্ছে এই প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের। প্ল্যান তো হলো এখন এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব হচ্ছে কর্টেক্সের। কিন্তু এই কর্টেক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে না। লিম্বিক সিস্টেম যেরকম অটোমেশনের মতো কাজ সে প্লেজার চায় সবসময়। সে ঝামেলা থেকে অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিপজ্জনক কিছু থেকে আপনাকে সবসময় বিরত রাখতে চায় অটোমেটিক তার প্রচেষ্টা। আপনার কষ্ট হবে থাক। ঘুম থেকে ওঠতে হবে এখন। ওঠতে চাচ্ছে না আচ্ছা থাক না থাক থাক। (হাসি) মানে এটা হচ্ছে লিম্বিক সিস্টেমের কাজ।
ক্রমাগত উইল পাওয়ার প্রয়োগ না করলে লিম্বিক সিস্টেম আপনাকে আলস্যে ডুবিয়ে দেবে এখন প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের কাজ কিন্তু অটোমেটিক না। সে অটোমেটিক আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবে না। সচেতনভাবে যদি আপনি একে সচল না রাখেন অর্থাৎ আপনার ক্রমাগত উইল পাওয়ার ইচ্ছা এটার ওপরে যদি প্রয়োগ না করেন তাহলে লিম্বিক সিস্টেম ঘাঁটি গেড়ে বসে যাবে। আপনাকে ঐ আলস্যের মধ্যে ডুবিয়ে দেবে। এবং যে কাজ করাটা একটু পরিশ্রম আছে একটু আয়েশ আছে এবং প্রয়োজনীয় সেটা না করে তখন ভাবি আচ্ছা থাক করবো নে বিকেলে করব। বিকেল হলে ভাবি বিকেল তো হয়েই গেছে, আজকে তো এখন কাজটা ধরে শেষ করতে পারব না। (হাসি) অ্যা অমুক বন্ধু আসছে তার সাথে একটু গল্প করলে ভালো। আচ্ছা ঠিক আছে, বন্ধু চলে গেলে পরে রাতে কাজ করব। যখন রাত হলো ইস খাওয়ার সময়তো হয়ে গেছে আজকে থাক কালকে ভোর থেকে ওঠে কাজ করব। তো এভাবে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয় এবং দেরি হয়ে যায়।
আজ না কাল করব এমন যারা ভাবেন, দীর্ঘসূত্রিতা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। বৃটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরোইস ২০ বছর ধরে দীর্ঘসূত্রিতার ওপর গবেষণা করেছেন, তার গবেষণা রিপোর্ট হচ্ছে যে আজ না কাল করব এমনটা যারা ভাবেন তাদের কাজ যে কেবল পিছিয়ে যায় তা নয়, দীর্ঘসূত্রিতা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় এবং দীর্ঘসূত্রিতা যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাদের জীবনে স্ট্রেসটা বেড়ে যায়। অনিদ্রা মাথাব্যথা হজমের সমস্যা সর্দি বা ফ্লু-তে তাদের আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু দীর্ঘসূত্রিতা থেকে �