স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে তাঁর সঙ্গে পালাতে চেয়েছিলেন এক নারী। স্বামীর দাবি, তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। সামনে তার বোর্ড পরীক্ষা। তাই স্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন, এমনটা যেন না করেন। কিন্তু স্ত্রী উল্টো অশান্তি শুরু করেন। সেই ক্ষোভে শেষ পর্যন্ত ওই স্ত্রীকে হত্যা করেন তাঁর স্বামী। শুধু খুনই নয় স্ত্রীর মরদেহের পাশে বসে ভিডিও করেন ওই স্বামী। পরে সেই ভিডিও আবার শেয়ার করেন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপে। গতকাল মঙ্গলবার এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটের রাজকোটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ওই নারীর নাম অম্বিকা। তাঁর স্বামীর নাম গুরুপা জিরোলি। নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত জিরোলি মঙ্গলবার সকালে স্ত্রীকে খুন করেন। তার পর তাঁর রক্তাক্ত দেহের পাশে বসে ভিডিও করেন।
স্থানীয় পুলিশের ভাষ্য, ওই দম্পতির দুই সন্তান। তারা ২০০৩ সাল থেকে রাজকোটে থাকেন। এই দম্পতির মেয়ের বয়স ১৭ বছর। আর ছেলে ১০ বছরের। ভিডিওতে জিরোলি দাবি করেছেন, তাঁরই বন্ধুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন স্ত্রী। স্বামী এবং ছেলেমেয়েদের ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে চেয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু সামনে মেয়ের বোর্ড পরীক্ষা। স্ত্রীকে অভিযুক্ত বুঝিয়েছিলেন, মেয়ের পরীক্ষা মিটে গেলে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। চাইলে তখন বিবাহবিচ্ছেদও করবেন। কিন্তু অম্বিকা তা মানতে চাননি। সেই রাগে স্ত্রীকে তিনি মেরে ফেলেছেন বলে ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন অভিযুক্ত জিরোলি। যে সোসাইটিতে ওই দম্পতি থাকতেন, তাঁদের একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানে ওই ভিডিওটি শেয়ার করেন অভিযুক্ত স্বামী।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এফআইর দায়ের করার পর অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রতিবেশী এবং ওই দম্পতির পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।