গ্লসোফোবিয়া হলো জনসমক্ষে কথা বলার সময় ভয় অনুভব করা। এটি একটি নির্দিষ্ট ধরনের ফোবিয়া, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি বাসা, স্কুল অথবা কর্মক্ষেত্রে মানুষের সামনে কথা বলতে গেলেই ভয় পান। যখনই তাঁকে জনসমক্ষে কথা বলতে বলা হয়, তখনই তার মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। যেমন:
১. অন্যের সামনে কথা বলার সময় তারিখ ভুলে যাওয়া।
২. বক্তৃতা নিয়ে অতিরিক্ত প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা করা।
৩. বক্তৃতা শুরুর আগেই বলে দেওয়া, তিনি বক্তৃতা দিতে চান না।
৪. এ ক্ষেত্রে যদি পরীক্ষায় ফেল করতে বা চাকরি ছাড়াতে হয়, তাও তিনি মেনে নেন।
৫. বক্তৃতার বিষয়বস্তু নিয়ে তীব্র দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপে থাকা। যা কাজের দক্ষতাকে ক্ষতি করে।
মানুষের সামনে কথা বলতে গেলেই কেন ভয় হয়?মানুষের সামনে কথা বলতে গেলেই কেন ভয় হয়?
উপসর্গ
১. অনেক বেশি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও প্যানিক কাজ করা।
২. বিষণ্নতা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, পরিপাকতন্ত্রে গোলযোগ, মাথা ব্যথা, হতাশা, এলোমেলো চিন্তা করা।
৩. মনে মনে ভাবতে থাকা, বক্তৃতার পর তাকে অবমূল্যায়ন বা অপমান করা হবে।
৪. দুশ্চিন্তায় ভোগার উপসর্গ অন্তত ছয় মাসের বেশি সময় থাকা।
৫. উচ্চমাত্রার স্ট্রেস এবং দুশ্চিন্তা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করা।
শারীরিক লক্ষণ
১. বমি বমি ভাব হওয়া।
২. ঘামতে থাকা।
৩. মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
৪. হাত ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, কাঁপতে থাকা।
৫. হৃৎপিণ্ডের গতি বৃদ্ধি, বুক ধরফর করা।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাস এর গতি দ্রুত হওয়া।
৭. হঠাৎ করে প্রস্রাব করবার তীব্র দৈহিক প্রয়োজন অনুভূত হওয়া।
আপনারও কি আছে নোমোফোবিয়া?আপনারও কি আছে নোমোফোবিয়া?
আবেগীয় লক্ষণ
১. সন্দেহ করা, নিজের বিষয়ে বিভ্রান্তিতে থাকা।
২. ভয় পাওয়া, ভয়ে অস্থির হয়ে যাওয়া।
৩. হীনম্মন্যতা, আত্মবিশ্বাসহীনতায় থাকা।
৪. ভুলে যাওয়া, রেগে যাওয়া বা লজ্জা পাওয়া।
৫. আমি অপদার্থ, নিজের প্রতি এই ধরনের নেতিবাচক ভাবনা।
৬. স্পষ্টবাদী না হওয়া, নিজেকে নৈরাশ্যবাদী মনে করা।
৭. কেউ কটাক্ষ করলে নিতে না পারা।
ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তা কখন ফোবিয়া হয়ে যায়?ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তা কখন ফোবিয়া হয়ে যায়?
৮. আত্মহত্যার চিন্তা করা বা প্রচেষ্টা।
৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দক্ষতার কমতি।
১০. আস্তে আস্তে সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা।
১১. শিক্ষাজীবন অথবা পেশাগত জীবনে আশানুরূপ ফলাফল না করা।
১২. মদ্যপানে আসক্ত হওয়াকে জীবনের বিকল্প রাস্তা হিসেবে বেছে নেওয়া।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার। ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ
১. অন্যের সামনে কথা বলার সময় তারিখ ভুলে যাওয়া।
২. বক্তৃতা নিয়ে অতিরিক্ত প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা করা।
৩. বক্তৃতা শুরুর আগেই বলে দেওয়া, তিনি বক্তৃতা দিতে চান না।
৪. এ ক্ষেত্রে যদি পরীক্ষায় ফেল করতে বা চাকরি ছাড়াতে হয়, তাও তিনি মেনে নেন।
৫. বক্তৃতার বিষয়বস্তু নিয়ে তীব্র দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপে থাকা। যা কাজের দক্ষতাকে ক্ষতি করে।
মানুষের সামনে কথা বলতে গেলেই কেন ভয় হয়?মানুষের সামনে কথা বলতে গেলেই কেন ভয় হয়?
উপসর্গ
১. অনেক বেশি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও প্যানিক কাজ করা।
২. বিষণ্নতা, ক্লান্তি, অনিদ্রা, পরিপাকতন্ত্রে গোলযোগ, মাথা ব্যথা, হতাশা, এলোমেলো চিন্তা করা।
৩. মনে মনে ভাবতে থাকা, বক্তৃতার পর তাকে অবমূল্যায়ন বা অপমান করা হবে।
৪. দুশ্চিন্তায় ভোগার উপসর্গ অন্তত ছয় মাসের বেশি সময় থাকা।
৫. উচ্চমাত্রার স্ট্রেস এবং দুশ্চিন্তা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করা।
শারীরিক লক্ষণ
১. বমি বমি ভাব হওয়া।
২. ঘামতে থাকা।
৩. মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
৪. হাত ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, কাঁপতে থাকা।
৫. হৃৎপিণ্ডের গতি বৃদ্ধি, বুক ধরফর করা।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাস এর গতি দ্রুত হওয়া।
৭. হঠাৎ করে প্রস্রাব করবার তীব্র দৈহিক প্রয়োজন অনুভূত হওয়া।
আপনারও কি আছে নোমোফোবিয়া?আপনারও কি আছে নোমোফোবিয়া?
আবেগীয় লক্ষণ
১. সন্দেহ করা, নিজের বিষয়ে বিভ্রান্তিতে থাকা।
২. ভয় পাওয়া, ভয়ে অস্থির হয়ে যাওয়া।
৩. হীনম্মন্যতা, আত্মবিশ্বাসহীনতায় থাকা।
৪. ভুলে যাওয়া, রেগে যাওয়া বা লজ্জা পাওয়া।
৫. আমি অপদার্থ, নিজের প্রতি এই ধরনের নেতিবাচক ভাবনা।
৬. স্পষ্টবাদী না হওয়া, নিজেকে নৈরাশ্যবাদী মনে করা।
৭. কেউ কটাক্ষ করলে নিতে না পারা।
ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তা কখন ফোবিয়া হয়ে যায়?ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তা কখন ফোবিয়া হয়ে যায়?
৮. আত্মহত্যার চিন্তা করা বা প্রচেষ্টা।
৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দক্ষতার কমতি।
১০. আস্তে আস্তে সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা।
১১. শিক্ষাজীবন অথবা পেশাগত জীবনে আশানুরূপ ফলাফল না করা।
১২. মদ্যপানে আসক্ত হওয়াকে জীবনের বিকল্প রাস্তা হিসেবে বেছে নেওয়া।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার। ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ