সম্প্রতি নিজের প্রতিষ্ঠান জবরদখল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হুমকির অভিযোগ তুলে পুলিশের সহায়তাও চেয়েছিলেন। অন্যদিকে, পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়- সাতটি প্রতিষ্ঠান আইন মেনেই নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো ভয়ের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে 'ডয়েচে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে নিজের দেশে থাকা নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন ড. ইউনূস।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ভয়ের মধ্যে আছি। আমাদের বিল্ডিংয়ের সামনে দলীয় একটা সভা, যেখানে আমাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে, ছাত্রদের নিয়ে এসে আমাদের ঘেরাও করে রাখছে, আমাদের বিল্ডিং ঘেরাও করে রাখছে। কাজেই আমরা খুবই সংকটময় অবস্থায় আছি- এটাই আপনাদের সবাইকে জানান দেয়া। আমরা খুব সহজ অবস্থার মধ্যে নেই।
ওই অনুষ্ঠানে 'কর ফাঁকি' নিয়ে আদালতের রায় ও কর পরিশোধের বিষয়েও বিস্তর আলোচনা করেন ড. ইউনূস। কর পরিশোধ না করে অনুদান দেয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার টাকা, আমি রোজগার করেছি। আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি কোনোকিছুর মালিক হবো না। কাজেই আমি টাকাটা যেহেতু উপার্জন করেছি, সেটা আমি একটা ট্রাস্টে দিয়ে দিতে চাচ্ছি। যেমন: আমার নিজের কোনো বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, জমি নেই, ব্যবসার শেয়ার নেই। আমি এগুলো কোনোটা রাখিনি, মালিকানাবিহীন থাকতে চাই সবসময়। কাজেই এই টাকাটা আমি ট্রাস্টে দিয়ে দিচ্ছি।
তবে ট্রাস্টে দেয়ার সময় প্রশ্ন উঠলো- এটার কর দিতে হবে কি না। তখন আমাদের আইনজীবী বললো যে- না, এটা যেহেতু আপনি দান করছেন, এটা কর দেয়ার কোনো বিষয় না। আপনি তো দানই করে দিচ্ছেন। আমি বললাম, আইনে যেভাবে বলে সেভাবে করো, টাকা তো আমি এমনিই দিয়ে দিচ্ছি। কাজেই এটা সরকারকে দিলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমি তো ধরে রাখতে চাচ্ছি না টাকাটা।
পরে আমরা একটা ফরম পূরণ করে দিয়ে দিলাম। তখন সরকারের পক্ষ থেকে, এনবিআর থেকে বলা হলো যে- না এটা করযোগ্য টাকা। আপনাকে কর দিতে হবে। আমাদের আইনজীবী বলছে দিতে হবে না, আর উনারা বলছে দিতে হবে। তখন আমি বললাম ঠিক আছে, আদালতের কাছে চাও। আদালত যেটা বলে সেটাই হবে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ভয়ের মধ্যে আছি। আমাদের বিল্ডিংয়ের সামনে দলীয় একটা সভা, যেখানে আমাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে, ছাত্রদের নিয়ে এসে আমাদের ঘেরাও করে রাখছে, আমাদের বিল্ডিং ঘেরাও করে রাখছে। কাজেই আমরা খুবই সংকটময় অবস্থায় আছি- এটাই আপনাদের সবাইকে জানান দেয়া। আমরা খুব সহজ অবস্থার মধ্যে নেই।
ওই অনুষ্ঠানে 'কর ফাঁকি' নিয়ে আদালতের রায় ও কর পরিশোধের বিষয়েও বিস্তর আলোচনা করেন ড. ইউনূস। কর পরিশোধ না করে অনুদান দেয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার টাকা, আমি রোজগার করেছি। আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি কোনোকিছুর মালিক হবো না। কাজেই আমি টাকাটা যেহেতু উপার্জন করেছি, সেটা আমি একটা ট্রাস্টে দিয়ে দিতে চাচ্ছি। যেমন: আমার নিজের কোনো বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, জমি নেই, ব্যবসার শেয়ার নেই। আমি এগুলো কোনোটা রাখিনি, মালিকানাবিহীন থাকতে চাই সবসময়। কাজেই এই টাকাটা আমি ট্রাস্টে দিয়ে দিচ্ছি।
তবে ট্রাস্টে দেয়ার সময় প্রশ্ন উঠলো- এটার কর দিতে হবে কি না। তখন আমাদের আইনজীবী বললো যে- না, এটা যেহেতু আপনি দান করছেন, এটা কর দেয়ার কোনো বিষয় না। আপনি তো দানই করে দিচ্ছেন। আমি বললাম, আইনে যেভাবে বলে সেভাবে করো, টাকা তো আমি এমনিই দিয়ে দিচ্ছি। কাজেই এটা সরকারকে দিলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমি তো ধরে রাখতে চাচ্ছি না টাকাটা।
পরে আমরা একটা ফরম পূরণ করে দিয়ে দিলাম। তখন সরকারের পক্ষ থেকে, এনবিআর থেকে বলা হলো যে- না এটা করযোগ্য টাকা। আপনাকে কর দিতে হবে। আমাদের আইনজীবী বলছে দিতে হবে না, আর উনারা বলছে দিতে হবে। তখন আমি বললাম ঠিক আছে, আদালতের কাছে চাও। আদালত যেটা বলে সেটাই হবে।