দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান বলেছেন, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত যদি হিসেব করেন, আজকে দেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে, সেটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। 'সাউথ এশিয়ান কনস্টিটিউশনাল কোর্টস ইন দা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি: লেসন ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি- এটা একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া কখনো কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ পাশাপাশি। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যখন আত্মপ্রকাশ পেলে, আমরা দেখলাম ভারতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে সেই পাকিস্তান আমলে হোক, আর বাংলাদেশ হওয়ার পরে হোক, আমরা মিলিটারি ডিকটেটরশিপের ওপর পড়েছি।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দল
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর। কোনো স্থিতিশীলতা ছিল না। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে আশা করেছিলাম, আমাদের ভূ-খণ্ডের মানুষ অন্তত একটা স্থিতিশীল জীবন পাবে, দেশের উন্নতি হবে। মানুষের উন্নতি হবে, জীবনমানের উন্নতি হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, '৭৫ এর পর ক্ষমতা জনগণের হাতে নয়, ক্যান্টনমেন্টে বন্দী হয়। প্রায় ২১ বছর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষমতা সামরিক শাসকদের হাতে বন্দী ছিল। সেই বিচারকদের ধন্যবাদ যারা রায় দিয়েছেন-মার্শাল ল' জারি করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। উচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ করে জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। আজকে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি। আজকে আদালতের বিচারপতিগণ অনেকে রায় বাংলায় দেয়া শুরু করেছেন। বিশেষ করে ভাষার মাসে অনেক রায় বাংলায় দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ সময় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করে তিনি।
তিনি বলেন, সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। ১৫ আগস্ট যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়। ভারতবাসী সৌভাগ্যবান যে তাদের দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। আর আমাদের দেশে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার চেষ্টা করেছে।
ভবিষ্যতে দেশের বিচার বিভাগও স্মার্ট হবে- এমন প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে সেটা শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমরা বাস্তবায়ন করবো।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। 'সাউথ এশিয়ান কনস্টিটিউশনাল কোর্টস ইন দা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি: লেসন ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং আর্থসামাজিক উন্নতি- এটা একমাত্র হতে পারে যখন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ হয়। তখন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া কখনো কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশ পাশাপাশি। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যখন আত্মপ্রকাশ পেলে, আমরা দেখলাম ভারতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। অন্যদিকে সেই পাকিস্তান আমলে হোক, আর বাংলাদেশ হওয়ার পরে হোক, আমরা মিলিটারি ডিকটেটরশিপের ওপর পড়েছি।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দল
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর। কোনো স্থিতিশীলতা ছিল না। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে আশা করেছিলাম, আমাদের ভূ-খণ্ডের মানুষ অন্তত একটা স্থিতিশীল জীবন পাবে, দেশের উন্নতি হবে। মানুষের উন্নতি হবে, জীবনমানের উন্নতি হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, '৭৫ এর পর ক্ষমতা জনগণের হাতে নয়, ক্যান্টনমেন্টে বন্দী হয়। প্রায় ২১ বছর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষমতা সামরিক শাসকদের হাতে বন্দী ছিল। সেই বিচারকদের ধন্যবাদ যারা রায় দিয়েছেন-মার্শাল ল' জারি করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। উচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ করে জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করা হয়েছে। আজকে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি। আজকে আদালতের বিচারপতিগণ অনেকে রায় বাংলায় দেয়া শুরু করেছেন। বিশেষ করে ভাষার মাসে অনেক রায় বাংলায় দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ সময় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করে তিনি।
তিনি বলেন, সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই আছে। ১৫ আগস্ট যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়। ভারতবাসী সৌভাগ্যবান যে তাদের দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ছিল। আর আমাদের দেশে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার চেষ্টা করেছে।
ভবিষ্যতে দেশের বিচার বিভাগও স্মার্ট হবে- এমন প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে সেটা শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ আমরা বাস্তবায়ন করবো।